রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

আমি তারেককে ভালবাসি : এমাজউদ্দীন আহমদ

  |   মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

আমি তারেককে ভালবাসি : এমাজউদ্দীন আহমদ

তারেক রহমানকে আমি দেখি একজন শিক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে। ভালো ছেলে। বিনয়ী, সদাশয়, মৃদুভাষী। নন্দিত জাতীয় নেতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। নেতা-নেত্রীর কাতারে বুদ্ধিদীপ্ত অগ্রগামী তারুণ্যের প্রতীক। দীর্ঘজীবী হোক এই কামনা প্রতি মুহূর্তের। সূত্র বিএনপি’র ওয়েবসাইট

তাকে চিনি দীর্ঘদিন ধরে। কোন আলোচনা সভা বা সেমিনারে নয় বরং ঘরোয়া পরিবেশে। সুশীল তরুণ হিসাবে। তার বক্তব্য ঋজু। চিন্তা-ভাবনা সুস্পষ্ট। কৃত্রিমতা এখনো তাকে স্পর্শ করেনি। স্পর্শ করেনি দুর্বুদ্ধিপ্রসূত কোন জটিলতা। সম্ভবত এ কারণে তারেকের বন্ধু যতজন, শত্রু ও প্রায় ততজন। অমিত সম্ভাবনাময় জীবনের অধিকারী এই তরুণের প্রতি তাই আমার উপদেশ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে। যিনি সবকিছু বিসর্জন দিয়ে অন্যের কথা ভাবেন, অন্যের জন্যে কাজ করেন, অন্যেরা হয়ে পড়েন তারই অতি আপন। তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তার খুব কাছের মানুষ। লর্ড এ্যাক্টন ভাবুকদের মহলে খুব পরিচিত একটা নাম। তিনি খুব বেশি লেখালেখি করেননি, কিন্তু যে ক’টা লেখা লিখেছেন তা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। একটি লেখায় তার বক্তব্য ছিল: ‘ক্ষমতার একটি বিষক্রিয়া রয়েছে এবং নিরঙ্কুশ ক্ষমতার বিষক্রিয়া সর্বব্যাপক।’ কিন্তু যে যোগ্য ব্যক্তি ক্ষমতা অথবা অর্থবিত্তের উপেক্ষা করে চলেন, ক্ষমতা অথবা অর্থবিত্ত তার পেছনেই ছোটে। তারেক রহমানকে একথা বলছি এ জন্যে যে, তার পিতা রাষ্ট্রক্ষমতা সম্পর্কে নিরাসক্ত ছিলেন বলেই তারই অজ্ঞাতে এবং অনিচ্ছায়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে ক্ষমতার শূন্যতা পূরণে তাঁকেই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। বেগম খালেদা জিয়া প্রচুর অনুনয়-বিনয়ের পরেই রাজি হন বিএনপির হাল ধরতে, কিন্তু তিনিই তো সবচেয়ে দীর্ঘকাল প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাংলাদেশের সেবা করেছেন।

এদেশের লাখো কোটি মানুষ চায় তারেক রহমানের জীবন সফল হোক। আমিও তাদের একজন। তার পথের দু পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কণ্টক। এসবকে এড়িয়ে চলতে হবে তাকে, আর খুঁজে পেতে হবে সৎ, সাহসী, সৃজনশীল বান্ধবদের। জাগ্রত রাখতে হবে সর্বক্ষণ তার বিবেককে। বুদ্ধির পরিবর্তে প্রজ্ঞার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। মস্তিষ্কের চেয়ে অন্তকরণের নির্দেশনাই এদেশে অধিক কার্যকর হয়েছে, সবসময়। তারও পথনির্দেশনা দিক তার বিবেক, তার অন্তঃকরণ।

লেখক : প্রফেসর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৮:০৩ | মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com