| বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পিটুনিতে মারা যাওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। কিন্তু তিনি গ্রামবাসীর তোপের মুখে রায়ডাঙ্গা গ্রামে থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরারের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনি বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রহরায় ফিরে আসতে বাধ্য হন।
ভিসিকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরই পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
পুলিশ আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজকে মারধর করে এবং আবরারের মামাতো ভাবি তমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ করে আবরারের পরিবার। তাকে কুমারখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ সব ঘটনা ঘটে।
আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ অভিযোগ করেন, পুলিশ আমার গায়ে হাত দিয়েছে। বুকে গুতো মেরেছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিজে আমাকে মেরেছে। আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরেছে, এবার পুলিশ কী আমাকে মারবে?
ফাইয়াজ বলেন, আমি ভিসি স্যারের নিকট জানতে চাইলাম আমার ভাইয়ার খুনিদের এখনও কেন বহিষ্কার করা হয়নি। এ সময় তিনি নীরব ছিলেন, আমি আমার ভাইয়ের হত্যা সম্পর্কে আরও প্রশ্ন করতেই তিনি কোনো জবাব না দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যাওয়ার মুহূর্তে অতিরিক্ত পুলিশ সপুার মোস্তাফিজুর রহমান আমার বুকের উপর হাত দিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করেন। এতে আমি মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমার মামাতো ভাবিকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করা হয় এবং এলাকাবাসীকে ধরপাকর করা হবে বলে পুলিশ হুমকি প্রদর্শন করায় আমরা আতংকে আছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/
Posted ১২:১৫ | বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain