শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট নন্দনকানন নূহাশপল্লীতে ঘুমিয়ে থাকার সাত বছর

  |   শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট

হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট নন্দনকানন নূহাশপল্লীতে ঘুমিয়ে থাকার সাত বছর

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ-এর আজ সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে নানা অনুষ্ঠানে তার ভক্ত-শুভার্থীরা কামনা করেছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু মানুষের সেই প্রার্থনা পূরণ হয়নি। তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

হুমায়ূন আহমেদের শরীরে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মরণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখানে ২০১২ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে তিনি চলে যান লাইফ সাপোর্টে। সেই অবস্থাতেই ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিউইয়র্ক থেকে ২০১২ সালের ২৩ জুন দেশে ফিরিয়ে আনা হয় হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। ২৪ জুন তাকে সমাহিত করা হয় তার গড়ে তোলা গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।

বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপুরুষ ছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয় একজন লেখক। গল্প, উপন্যাস লেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার হাত ধরেই অনেকে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। এ প্রজন্মের কেউ কেউ তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ছেন। তিনি একাধারে ছিলেন সফল ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, নাট্যপরিচালক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেই মাত্র ৬৩ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

তিনি মূলত স্বশিক্ষিত চলচ্চিত্রকার। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে বলা যায় তাঁরই রচিত সাহিত্যের সম্প্রসারণ। একথা ঠিক যে, তিনি সেলুলয়েডে গল্প বলার জন্যই এই জগতে আসেন।

১৯৭২ সালে ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। এরপর ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘জোৎস্না ও জননীর গল্প’, ‘কোথাও কেউ নেই’সহ কালজয়ী সব উপন্যাস লিখেছেন। লেখালেখি শুরুর মাত্র ১০ বছরের মাথায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

হিমু, মিছির আলীর মতো চরিত্র দিয়ে লাখো-কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর। ৩০০-র বেশি বই লিখেছেন তিনি।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন। দেশের বাইরেও তাকে নিয়ে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। তার প্রমাণ, জাপান টেলিভিশন ‘এনএইচকে’ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছে ১৫ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘হু ইজ হু ইন এশিয়া’।

পূর্বপশ্চিমবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:৩১ | শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com