নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
গুনাহগার মুসলমানের জানাজা নিয়ে শরিয়তের বিধান হলো—একজন মানুষ যখন মুসলিম প্রমাণিত হবে, তার ইন্তেকালের পর মুসলিমদের ওপর তার জানাজা ও কাফন-দাফন ফরজে কেফায়া, চাই সে যত বড়ই পাপকারী হোক না কেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমরা নেককার ও বদকার সব মুসলিমেরই জানাজা পড়ো।’ (সুনানে দারাকুতনি: ১৭৬৮; বায়হাকি: ৬৮৩২)
অন্য বর্ণনায় ওই হাদিসে এ শব্দও রয়েছে যে ‘যদিও সে কবিরা তথা বড় গুনাহে লিপ্ত হয়’। (মুসনাদে শামিয়্যিন-তাবারানি: ৩৪৬১)
কিছু মানুষ মনে করেন, আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে না বা তার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করা যাবে না—এ ধারণা সঠিক নয়। বরং তার জানাজা পড়া হবে, তার জন্য মাগফেরাতের দোয়াও করা যাবে।
তবে এমন ব্যক্তির জানাজায় শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি ব্যক্তিত্ব না গিয়ে সাধারণ লোক দিয়ে জানাজার নামাজ পড়িয়ে নেওয়াই উত্তম। (শরহু মুসলিম, নববি: ৭/৪৭ (৯৭৮ নং হাদিসের অধীনে); সুনানে কুবরা, বায়হাকি: ৪/১৯)
শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি ব্যক্তিত্ব জানাজায় না যাওয়া প্রসঙ্গে দলিল হলো- হাদিস শরিফে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (স.) তার জানাজায় শরিক হননি, বরং সাধারণ লোকেরা তার জানাজা দিয়ে কবর দিয়ে দেয়। (মুসলিম: ৯৭৮) হাদিসের ব্যাখ্যাকাররা বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) জানাজায় শরিক না হওয়ার কারণ হলো- আত্মহত্যার গুনাহের প্রতি মুসলিমদের সতর্ক করা। (শরহে মুসলিম-নববি: ৭/৪৭)
Posted ০৭:৪৬ | বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain