নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ ৩১ মার্চ রবিবার মহানগরীর বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপহার তুলে দেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ সিরাজুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রাজধানীর বুকে ইসলামী আন্দোলনের কাজে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে আপনারা যারা আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন সকলেই অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে মুজাহিদদের ঘোড়াকে খাবার খাওয়ানোও আল্লাহর কাছে মর্যাদাপূর্ণ ও অনেক সওয়াবের কাজ। ঈদ উপলক্ষে আপনাদের হাতে সামান্য উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব ছাড়া সুখী-সমৃদ্ধ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সে কাজে সর্বদা পাশে থেকে আপনারাই আমাদের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ভুমিকা পালন করে থাকেন আলহামদুলিল্লাহ। আজকে দেশে ভোটার বিহীন সরকার জনগণের সামনে উন্নয়নের তোকমা দেখালেও মূলত হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। এই সরকার দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সহ সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
আজ দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই, এমনকি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারেনা। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, এই পবিত্র রমাদান মাস হল সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে সঠিক ভাবে রোজা পালন ও কুরআনের জ্ঞান চর্চা করে নিজেদের মান উন্নয়ন করতে হবে। জামায়াত ইসলামী তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দেশ ও জাতি গঠনে অবদান রেখে চলছে। ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে সকল মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার বুঝে পাবে।
খোলাফায়ে রাশেদীন পরিচালিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সকল মানুষই শান্তিময় জীবনযাপন করবেন। এমন একটি সমাজব্যবস্থা কায়েমের জন্যই জামায়াত প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জামায়াতের এই প্রচেষ্টা ও সংগ্রামে সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
Posted ১৩:৪২ | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin