
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর : সীমান্তবর্তী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নদীগুলো শাসন ব্যবস্থার অভাবে বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর কোটি টাকা ম‚ল্যের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। নদী বেষ্টিত এ উপজেলায় ছোট বড়ো ৪টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে মহারশি, সোমেশ্বরী, কালঘোষা ও মালিঝি নদী। এসব নদীর উৎসস্থল ভারতে। নদীগুলোর দৈর্ঘ প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার। ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে পাহাড়ি এসব নদীগুলো প্রবাহিত হয়েছে।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন নদীগুলো ভরাট হবার পাশাপাশি নদীর দু’পাশে জেগে উঠা চর দখল করে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি গড়ে উঠায় নদীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ কারনে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী শাসনের অভাবে প্রতিবছর ১০ হাজার কৃষকের কোটি টাকার ওপরে ফসলের ক্ষতি হয়।
উপজেলা কৃষি ন¤প্রসারন অধিদপ্তর, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় আবাদি জমির পরিমান প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর। কৃষক রয়েছে ৪০ হাজার। শুষ্ক মৌসুমে নদীগুলোর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে বোরো মৌসুমে আবাদ করে থাকে কৃষকরা । তবে বর্ষাকালে আমন মৌসুমে নদীগুলোতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির কৃষকদের দুঃখ দুর্দশার সীমা থাকে না। পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে আবার কখনো কখনো নদীর দুক‚ল ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে ভেসে যায় শতশত পুকুরের মাছ । আর নদীগর্ভে বিলিন হয় শতশত বাড়িঘর ।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, নদীগুলো খনন করে দু পাশে শক্তিশালী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, মহারশী নদী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার পাশাপাশি নদী খননের ব্যাপারে প্রকল্প প্রনয়ন করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কার্যক্রম শুরু করা হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে।
Posted ০৯:১৭ | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin