
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
রমজানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। অসাধু কালোবাজারি ও মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট করছে।’
শনিবার (১লা এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১০দফা দাবিতে লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরান বলেন, ‘সরকার দলীয় লুটেরা সিন্ডিকেটের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজণ চোখে সরষেফুল দেখছে। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা শোচনীয়। সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে সফল হলেও দেশের জনগণের দুর্ভোগ দুর্দশা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কাছে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত। সরকার ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার ও ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বলে ক্ষমতা দখল করে সব ওয়াদা বেমালুম ভুলে গেছে। ‘জনর্দুভোগ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে পঙ্গু করে দিয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন ও লুটপাট থেকে বাচঁতে চায়।’
নওগাঁয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নারীর মৃত্যুর নিন্দা জানিয়ে ডা. ইরান বলেন, ‘রক্ষক আজ ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। গ্রেপ্তারের ৩০ ঘণ্টা পরে ডিজিটাল আইনে মামলা হাস্যকর। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মানুষের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গলার কাটা। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গণমাধ্যম কর্মীদের দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
‘নির্বিচারে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার সব রাজবন্দির’ মুক্তির দাবি জানান তিনি।
লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমাউন কবিরের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান জহুরা খাতুন জুইঁ, যুগ্মমহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক রাছেল সিকদার লিটন, কেন্দ্রীয় সদস্য রুম্মান সিকদার, ইমরান হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সহসভাপতি নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, দেশ বাচাঁও মানুষ বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম।
Posted ১০:৪৪ | শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain