নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
তথ্যও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ দিবস উপলক্ষে একটি মহল দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চক্রান্ত করছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। তারা ফিলিস্তিনে ১০ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয় না। অথচ কোথাও একজন আরেকজনকে ঘুষি মারলে কিংবা কেউ কাউকে ধাওয়া করলেও তারা বিবৃতি দেয়। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকারের নামে বিবৃতি দেওয়া কিছু মানুষের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, যারা পান থেকে চুন খসলে বিবৃতি দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু হরতাল-অবরোধের নামে চলমান পেট্রল বোমা হামলা ও নাশকতার মধ্যে তাদের দেখা যাচ্ছে না। এই বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছেন। দেশের জনগণ এদের খুঁজছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়। ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদের হত্যা করে দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব।
Posted ১৫:৩৭ | শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain