টেকনাফ ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বন্ধুর গুলিতে অপর বন্ধু মোঃ জোবাইর (৩) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার(২৯মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া নিজ বসতঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত গুলিবিদ্ধ জোবাইর একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেক প্রকাশ হরিংগার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফুটবল খেলোয়াড় ও দোকানদার মো: জোবাইরের একটি ছোট দোকান রয়েছে।ওই দোকান থেকে একই এলাকার বাসিন্দা বন্ধু ও ফুটবল খেলোয়াড় নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে ৮০০ টাকা বাকি পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মোবাইল ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়।
এরই জেরধরে জাগির হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩২) তার সহযোদ্ধা কায়েস, ফেরুজ, মোঃ হোসেনকে সাথে নিয়ে তার বন্ধু মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে জোবাইর (৩০) এর বাড়ির সামনে গিয়ে ডেকে বাড়ি থেকে বের করে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় জোবাইরের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
তার শোর-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কক্সবাজার প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ রেফার করে। চট্টগ্রাম যাওয়ার পথিমধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মতে, গত দুইদিন আগে নাজির পাড়ার নাজিম উদ্দিনের সাথে জোবায়েরের মধ্যে পাওনা টাকার লেনদেন নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। হয়তো এই ঘটনার জের ধরে এই ঘটনা ঘটায়। তবে তাদের দুই বন্ধুর মধ্যে কিসের লেনদেন ছিল তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
নিহত জোবাইরের মা মাবিয়া খাতুন জানান, জাগির হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩২) তার সহযোদ্ধা কায়েস, ফেরুজ, মোঃ হোসেনকে সাথে নিয়ে আমার ছেলেকে ডেকে বাড়ি থেকে বের করে গুলি করে পালিয়ে যায়। আমি এদের ফাঁসি চাই।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত সাখাওয়াত হোসেন মিঠু জানান, সন্ধ্যার পরে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান,মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার কোন ধরনের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Related