তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দণ্ড স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সোমবার ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছর করে যে দণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসলামবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ইমরানের আপিলের শুনানিতে রায় স্থগিতের আদেশ দেন।
আদালতে ইমরান খানের আপিলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আলী জাফর। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে কৌঁসুলি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমজাদ পারভেজ। তবে শুনানির সময় ইমরান খান বা তাঁর স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন কি না তা জানা যায়নি।
একাধিক মামলায় দোষী ও ওয়ারেন্টভুক্ত হওয়ায় গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতিবিরোধী আদালত ইমরান ও বুশরার বিবিকে এই সাজা দেয়। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় অনুসারে, ইমরান ও বুশরা বিবিকে দশ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষিদ্ধ এবং তাদের প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর একদিন পর উভয়কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায় দেওয়া হয় ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে তারা বিয়ে করার কারণে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আদালত ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়।