শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

আওয়ামী লীগ সারাদেশকেই কারবালার প্রান্তরে পরিণত করেছিল : মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫ | প্রিন্ট

আওয়ামী লীগ সারাদেশকেই কারবালার প্রান্তরে পরিণত করেছিল : মির্জা ফখরুল

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার (৫ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আশুরা কেবল শোকের দিন নয়, এটি ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের চিরন্তন প্রেরণা।

তিনি বলেন, “আশুরা হলো ইসলাম ধর্মের একটি স্মরণীয় দিন। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের শাহাদাত বরণের স্মরণে ১০ মহররম ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক দিন। দিবসটি আজও আমাদেরকে গভীর দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তোলে। আবার এ দিনটি সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে মজলুমের স্পষ্ট প্রতিবাদের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রামের মাধ্যমে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার বার্তা দেয়। মানবিক সাম্য ও মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কারবালায় হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর নিজ পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও অনুচরবৃন্দ জালিমের হাতে শহীদ হন। তাই শহীদে কারবালার মূল বার্তা হচ্ছে—নিপীড়িতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ।”

আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক দমন-পীড়নকে ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য করে বলেন, পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সারাদেশকেই কারবালার প্রান্তরে পরিণত করেছিল। জুলুম, হিংস্রতা ও রক্তপাতের এক দুঃসহ দুঃশাসনের মধ্যে জীবন কাটাতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে। গত দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে অদৃশ্য করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকামী মানুষের স্থায়ী ঠিকানা ছিল কারাগারে। বিপুল জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসার আবেদনকে অগ্রাহ্য করে তাঁকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম বাহিনীর মহিমান্বিত আত্মত্যাগের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সংগ্রামী নেতাকর্মীরা ৫ আগস্ট দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করে।

আশুরা ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন , আশুরা ত্যাগ, নৈতিকতা ও অন্যায়কে প্রতিহত করার শিক্ষা দেয় এবং নিপীড়িতদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংহতি জাগিয়ে তোলে। ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নয়, বরং অবিচার, জবরদস্তি, মিথ্যা অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করাই ১০ মহররমের মূল বাণী। ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগের এই ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে।

ইমাম হোসেন (রা.)-এর প্রতি ও তাঁর পরিবার এবং কারবালার শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বানী শেষ করেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:২৩ | শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com