
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট
আপনার যদি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধা পেয়ে যায় তাহলে সেজন্য কার্বোহাইড্রেট দায়ী হতে পারে। ২০১৪ সালে অ্যাপেটাইট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সাদা ভাত এবং রুটির মতো সাধারণ কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং তারপরে তা দ্রুত হ্রাস করে। এর ফলে ক্ষুধা অনুভব হয়। জটিল কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে ফাইবার এবং প্রোটিন যোগ করে খান।
২. শক্তি হ্রাস পাওয়া
খাওয়ার পরপরই শক্তি বেড়ে আবার কয়েক মুহূর্ত পরেই কমে যাচ্ছে। এরকমটা হলে সতর্ক হোন। এগুলো পর্যাপ্ত ফাইবার বা প্রোটিন ছাড়াই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার লক্ষণ। রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বৃদ্ধি এবং হ্রাস পেলে শক্তিও হ্রাস পায়। সেখান থেকে দেখা দেয় অনবরত ক্লান্তি।
৩. হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি
সাদা ভাত, ময়দা জাতীয় খাবার অথবা চিনিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খেলে দ্রুত ওজন বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সালে The BMJ-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, অব্যবহৃত কার্বোহাইড্রেট চর্বি হিসেবে জমা হয়, বিশেষ করে যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণে নড়াচড়া না করেন। তাই এ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই অলস শুয়ে বসে থাকবেন না।
৪. ত্বকে সমস্যা
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরও কি আপনার ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফেটে যাচ্ছে? তাহলে আপনার খাবারের তালিকার দিকে তাকান। প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট এবং চিনিযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, হরমোনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে এবং প্রদাহের সূত্রপাত হতে পারে। ফলাফল? ব্রণ, মলিন ত্বক এবং তৈলাক্ত ভাব। তাই এ ধরনের খাবার অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
Posted ০৯:২৭ | বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain