
| বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
দেশে করোনা আঘাত হানার পর থেকেই জীবন, জীবিকা এবং জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এই মহামারিতে কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান। লকডাউন তুলে দেয়ার পর মানুষ অনেকটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে জুটি বাঁধার আয়োজনও। তবে এখন আর আগের মতো করে বিয়ের পরিকল্পনা করা বা অংশ নেয়া যাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনো রয়েছে। তাই আয়োজন হবে অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন। স্থানীয় বিধিনিষেধ অনুসরণ করে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি হ্রাস করতে কিছু সুরক্ষা পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে।.
আমরা জানি, সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। আর বিয়েতে যেহেতু অনেক মানুষের সমাগম হয়, সেহেতু এটা সংক্রমণের বড় একটি ক্লাস্টার হয়ে উঠতে পারে। এজন্য বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার সময় আপনাকে সংক্রমণের বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি যত কম হবে ঝুঁকিও ততটা কমে যাবে। পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলের আকার ও আয়োজনটি অভ্যন্তরীণ নাকি বাইরের পরিবেশে হবে সেটার ওপরও ঝুঁকি নির্ভর করবে। আপনি বড় স্থান ও বাইরের পরিবেশে আয়োজন করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন। এ সময়ে খোলা বায়ু, প্রাকৃতিক বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ও প্রচুর খোলা জায়গা বিয়ে আয়োজনের সর্বোত্তম ব্যবস্থা হতে পারে। কারণ খোলা স্থানের চেয়ে বাড়ির অভ্যন্তরে সংক্রমণের ঝুঁকি ১৮ গুণ বেশি।
আয়োজন সংক্ষিপ্ত করাও ঝুঁকি কমানোর একটি বড় উপায়। আয়োজনগুলো সাধারণত গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। আর আমরা জানি যে সংক্রমণের ঝুঁকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। এজন্য মহামারীর এ সময়ে অনুষ্ঠানের সময়সীমা কমিয়ে আনুন। আর বসার স্থান ও খাওয়ার সময় প্রত্যেকের মাঝে ফাঁকা জায়গা কিংবা একটি করে সিট ফাঁকা রাখুন। অর্থাৎ ১০ জনের বসার স্থানে আপনি পাঁচজন বসানোর পরিকল্পনা করুন।
এছাড়া আমন্ত্রণপত্রে আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি জানিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ছোট করে একটি তালিকা আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করে দিন। পুরো আয়োজনে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব পালন, বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও অসুস্থ থাকলে বাড়িতে থাকার বিষয়টি মনে করিয়ে দিন। শেষ বার্তাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটা তিনি ভুল বুঝলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ারও ভয় থাকে। এজন্য করোনাভাইরাসজনিত লক্ষণ থাকলে না আসার বিষয়টি বিনীতভাবে অনুরোধ জানান।,
জোরে গান গাওয়া ও একসঙ্গে নাচা এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ এগুলো সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে তোলে। গ্লাস ব্যবহারেও অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। প্রত্যেক অতিথির জন্য একটা করে গ্লাসের ব্যবস্থা রাখুন এবং মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে প্রতিটা গ্লাসে ওই ব্যক্তির নামের ট্যাগ লাগিয়ে দিন। আর প্রতিটা টেবিলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। এছাড়া মহামারীতে ছোট আয়োজনে আপনি যদি আমন্ত্রিতদের মধ্যে একজন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন, তাহলে নিজে ও অন্যদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আপনারই। সম্মানের সঙ্গে দূরত্ব পালন করুন এবং অন্যকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহ দিন। দ্য কনভারসেশন । সূূূএ:পূর্বপশ্চিমবিডি
Posted ০৯:৪৬ | বুধবার, ০৪ নভেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain