শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

থার্টি ফাস্ট নাইট ও বড়দিনে কঠোর নিরাপত্তা: ডিএমপি

  |   বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

থার্টি ফাস্ট নাইট ও বড়দিনে কঠোর নিরাপত্তা: ডিএমপি

ইংরেজি নববর্ষ “থার্টি ফাস্ট নাইট” ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবে “বড়দিন” নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপি’র অপারেশন্স বিভাগের বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা সম্পর্কে কমিশনার বলেন- বড়দিনের অনুষ্ঠান নিরাপদে সুন্দরভাবে করতে রাষ্ট্র সব ধরণের নিরাপত্তা দিবে। সরকারী নীতি অনুযায়ী সব ধরণের ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। বড়দিনের নিরাপত্তায় আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুষ্ঠানস্থলে অপরিচিত ও সন্দেহভাজন কোন ব্যক্তি দেখলে পুলিশকে জানাবেন। প্রত্যেকটি চার্চে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে থাকবে। আর্চওয়ে দিয়ে প্রতিটি দর্শনার্থীকে চার্চে ঢুকতে দেয়া হবে। তল্লাশীর ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশী করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। আতশবাজি পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। চার্চ এলাকায় কোন ভাসমান দোকান বা হকার থাকতে দেয়া হবে না। কোন প্রকার ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাগপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

কমিশনার আরো বলেন- আমাদের অনেক সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে করে কোন কুচক্রীমহল কোন ধরণের সুযোগ নিতে না পারে। উন্মুক্ত স্থানে, বাসার ছাদে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না।

থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে কমিশনার বলেন- সরকারের পক্ষ থেকে ইংরেজী নববর্ষ থার্টি ফাস্ট নাইট পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে। কোন উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোন সমাবেশ, গান-বাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকেই নগরীর সকল ধরণের বার বন্ধ থাকবে। যেকোন ধরণের ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো রয়েছে। থার্টি ফাস্ট নাইটে আইডি কার্ড ব্যতীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাবি’র স্টিকার থাকতে হবে। বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকলে প্রক্টরিয়াল বডি তার বের করা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকা ব্যবহার করতে হবে।

আর গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ও আমতলী ক্রসিং দিয়ে যেতে হবে। বাহির হতে যেকোন পথ ব্যবহার করা যাবে।

মেরি ক্রিস্টমাস ও থার্টি ফাস্ট নাইট ঘিরে আমাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যার যার অবস্থান থেকে সবদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে দায়িত্ব পালন করতে সকলকে অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার।

উল্লেখ্য ঢাকা মহানগর এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ৬৮টি চার্চে বড়দিনের ধর্মীয় উৎসব পালিত হবে।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএমসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:০৫ | বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com