| শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
৯/১১। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, তারিখটা বিশ্ববাসী কখনও ভুলতে পারবে না। ২০০১ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২ হাজার ৯৯৭ জন নিহত এবং ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। হামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে হলেও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়েছিল গোটা বিশ্বে।
১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিমান ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। ২৭ সেপ্টেম্বর এফবিআই ১৯ ছিনতাইকারীর ছবি প্রকাশ করে। এদের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন সৌদি আরবের নাগরিক।
এফবিআইয়ের তদন্তে জানানো হয়, হামলাকারী ১৯ জনের মধ্যে ১১ জনই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে নতুন করে পাসপোর্ট করেছিলেন। আফগানিস্তানে সফরের রেকর্ড মুছে ফেলতেই তারা এই কাজ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। হামলার আগে তারা ৩৪ বারের মধ্যে ৩৩ বারই সফলভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন।
১৯ জনের মধ্যে জিয়াদ জাররাহ সবচেয়ে বেশি বার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। তিনি ১৭ বার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। মোহাম্মদ আত্তা ও মারওয়ান আল শেহলি তিন বার করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। একমাত্র হানি হানজুর প্রবেশ করেছিলেন শিক্ষা ভিসায়। তিনি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রবেশ করেন এবং ১৯৯৯ সালে অ্যারিজোনা থেকে বাণিজ্যিক বিমান চালানোর লাইসেন্স পান।
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ১১ তে ছিল সৌদি নাগরিক আব্দুল আজিজ আল ওমারি, ওয়াইল আল-শেহরি, ওয়ালিদ আল-শেহরি, সাতাম আল-সুকামি। আর নেতৃত্ব দিয়েছেন মিশরের নাগরিক মোহাম্মদ আত্তা।
ইউনাইটেড এয়ালাইনসের ফ্লাইট ১৭৫ তে ছিলেন সৌদি নাগরিক ফাইয়াজ বানিহাম্মাদ, মোহন্দ আল-শেহরি, হামজা আল-ঘামদি ও আহমেদ আল ঘামদি। এই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মারওয়ান আল শেহলি।
আমেরিকান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৭৭ এ ছিল সৌদি নাগরিক খালিদ আল মিহজার, মাজিদ মুকেদ, নাওয়াফ আল হাজমি, সালিম আল হাজমি ও হানি হানজুর। এই দলটির নেতৃত্বে ছিল হানি হানজুর।
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৯৩ এ ছিল সৌদি নাগরিক আহমেদ আল হাজনাউই, আহমেদ আল নামি, সাইদ আল ঘামদি ও লেবাননের নাগরিক জিয়াদ জাররাহ। আত্মঘাতী এই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছে জিয়াদ জাররাহ।
এদিকে এই হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথিত বৈশ্বিক যুদ্ধ ঘোষণা করেন। আফগানিস্তান থেকে সেই যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, গত দুই দশকে সেই যুদ্ধ আর সংঘাত ছড়িয়েছে ইরাক, পাকিস্তান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়াসহ অন্তত ২৪টি দেশে। সন্ত্রাসবিরোধী এই যুদ্ধে প্রায় ৯ লাখ মানুষ মারা গেছেন, আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৪ কোটি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স গত বছর কস্ট অব ওয়ার বা যুদ্ধের মূল্য শিরোনামে যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
Posted ১৩:০৬ | শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain