| শনিবার, ০৩ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে গুমোট অবস্থার কিছুটা পরির্বতন হয়েছে। রাজনীতিতে এই মুর্হুতে এক ধরণের শীতল হাওয়া বইছে। নানা জল্পনাকল্পনার মাঝে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তফশিল ঘোষণার প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তফশিল ঘোষণার আগে প্রধান নিবার্চন কমিশন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
এরপর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে। এদিকে তড়িঘড়ি তফশিল ঘোষণা না করতে শনিবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বিকেলে নির্বাচন কমিশনকে পৌঁছে দিয়েছে।
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে তারা চলমান সংলাপ, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। সাত দফা দাবির সমর্থনে জনমতকে সঙ্গে নিতে ৬ নভেম্বর রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। এই সময়ের মধ্যে সরকার তাদের অবস্থান পরিস্কার না করলে ওইদিনই সাত দফা দাবির সর্মথনে জনগণকে নতুন বার্তা দেবে ঐক্যফ্রন্ট। ওই সমাবেশ থেকে সরকারকে সাত দফা দাবি মেনে নেওয়া এবং সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানে শেষবারের মত আহবান জানানো হবে। অন্যথায় বিকল্প কর্মসূচির ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের ৬ তারিখের জনসভা থেকে নতুন একটি বার্তা আসবে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায়, সাত দফা দাবি আদায়ে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এই কর্মসূচিকে আন্দোলনের কর্মসূচি বলতে পারেন। কারণ, জনসভাও আন্দোলনের অংশ। এই জনসভা থেকেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে। এবং সেখান থেকেই আগামী দিনের পথচলার নির্দেশনা পাবো।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম বলেন, রাজপথের আন্দোলন থেকে উত্তম হবে সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকটের সমাধান। কারণ রাজপথের আন্দোলনে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে, অসুবিধা হয়। আমরা চাই না তেমন কোনো কর্মসূচিতে আমাদের ঠেলে দেওয়া হোক। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের কথায় তারা পরিচালিত হচ্ছেন। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। আশাকরি তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন। তা না দিলে ৬ তারিখের সমাবেশ থেকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সাত দফার সর্মথনে নতুন কর্মসূচি আসবে। সেই কর্মসূচি কতটা কঠোর হবে তা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ ও আচারণের ওপর নির্ভর করছে।
Posted ২৩:২৫ | শনিবার, ০৩ নভেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain