| বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই আইনটি চূড়ান্ত হয়নি। হওয়ার আগে এটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ পিআইবিতে প্রিন্ট এবং ইলেক্টনিক মিডিয়ার মালিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন কাদের।
গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইনটি পাসের জন্য সংসদে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে অনুমোদনের পর থেকেই খসড়া আইনের ৩২ ধারা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই ধারাটির কারণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সমালোচনা করে আসছেন সাংবাদিকরা।
এই ধারায় বলা আছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থার কোন গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ারর্কে ধারণ, প্রেরণ, সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেটা হবে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ।’
এই ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর জেল বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।
সাংবাদিকরা এই আইনটি পাস না করার দাবি জানিয়ে আসছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অবশ্য অভয় দিয়ে বলেছেন, এই আইনের কারণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হবে না। আর ৩২ ধারায় কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি বিনা পয়সায় লড়বেন।
বৃহস্পতিবার দুই ঘন্টাব্যাপী চলা বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথে কোন বাধা থাকবে না।’
৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই জানিয়ে কাদের বলেন, ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। এটা নিয়ে সবার মধ্যে এটা ভুল ধারণা ছিল। আইনটা অনুমোদন পেয়ে গেছে।’
‘কেবিনেটে যেকোন প্রস্তাব দুইভাবে বিবেচিত হয়। প্রথম নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়, তারপর এটি ভেটিংয়ে (পরীক্ষা-নীরিক্ষা) চলে যায় ল মিনিস্ট্রিতে। এখন এটি সে পর্যায়ে আছে।’
‘আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেতে আবারও কেবিনেটে আসবে। কেবিনেট থেকে যাবে পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর খসড়া পাঠানো হবে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। এ সময় মিডিয়া মালিক স্টেক হোল্ডার রয়েছেন তাদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ আছে।’
কাদের বলেন, ‘আলোচনার দরজাও খোলা আছে। কাজেই এ নিয়ে এ মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।’
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘এখানে আমাদের পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনা দেয়ার কোন এজেন্ডা ছিল না। সুশাসনের জন্য সরকার এবং মিডিয়া কীভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। খোলামেলা পরিবেশে সবাই মন খুলে বলেছেন। আমরা শুনেছি আবার তাদের কাছ থেকে কিছু কিছু অবজারভেশন-কমেন্ট নিয়েছি।’
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাছানুল হক ইনু, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন। সরকার ও গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
Posted ১৫:২৮ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain