| বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আর সরকারের প্রধান ব্যক্তি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এই দুই শীর্ষ ব্যক্তি কাছাকাছি সময়েই সিলেট সফর করবেন।
এরমধ্যে রাষ্ট্রপতি আসবেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। আর প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আসবেন তাঁর নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিলেটে জনসভায় যোগ দিতে।সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
সূত্র জানিয়েছে; বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও সিকৃবির চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ অংশ নিবেন।
উক্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে স্নাতক/মাস্টার্স/পিএইচডি সম্পন্নকারী গ্র্যাজুয়েটগণ অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি সিকৃবির রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সময়সূচি যথাসময়ে এসএমএস, ওয়েবসাইট, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম জানান, ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।’অন্যদিকে আসন্ন সিটি নির্বাচন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড উদ্বোধন করতে সিলেট আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সিলেট আসার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
তারা জানান, সফরকালে শেখ হাসিনা সিলেটে জনসভাও করবেন। একইসাথে তিনি কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
গত শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। শুধু সিলেটেই নয়, পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভাগীয় শহরগুলোতে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে তফসিল ঘোষণার পর যেহেতু আইনিভাবে তার সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই, তাই তফসিল ঘোষণার আগেই এই সফর শেষ করবেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন,বছরের প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে আসছেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশীর। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আসছেন অবশ্যই সিলেটবাসীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তিনি উপহার হিসেবে নিয়ে আসবেন।
আর প্রধানমন্ত্রীর এ আগমণে সিলেটের আওয়ামী পরিবার আরো সুসংগঠিত হবে, যা আগামী সিটি ও সংসদ নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।২০১৩ সালের ১৫ জুন রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট হয়। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই চার সিটিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জিতলেও আওয়ামী লীগ আমলের ভোটে হেরে যান দল সমর্থিত প্রার্থীরা। এরপর একই বছরের ৬ জুন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা গাজীপুরেও হেরে যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
পাঁচ বিভাগীয় শহরেই আবার বাজতে যাচ্ছে ভোটের দামামা। এবার ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। আর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব শহরে ভোট হবে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। আর এর অংশ হিসেবেই শহরগুলোতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
Posted ০৮:৩৩ | বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain