| রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৯ | প্রিন্ট
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ রয়েছে। এদের ধ্বংস করতেই পারলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।
রোববার রাজধানীর প্রেস কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এই ১৬ হাজার দুর্নীতিবাজ ও লুটেরারা রাষ্ট্র, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে জিম্মি করে রেখেছে। এরা ১৫ আগস্টের মতো ঘরকাটা ইঁদুর। এরা এখন ফসল কাটা ইঁদুর। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ১৬ হাজার ঘরকাটা ও ফসলকাটা ইঁদুর ধ্বংস করতে কঠোর হতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারবো।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানপন্থার দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সংবিধান কাটা ছেড়া করা হয়েছিলো। একাত্তরের ঘাতকেদর রাজনীতিতে নিয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। খুনিদের রক্ষা করা হয়। বাংলাদেশে দ্বিজাতিতত্ত্বের ব্যবস্থা চালু করা হয়। রাজনীতিতে একটি মহা চক্রান্ত করা হয়। এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খন্দকার মোশতাক। ফারুক, রশিদ ও ডালিমরা ছিলেন জল্লাদ। এর সঙ্গে জিয়াসহ যারা জড়িত ছিলেন, তাদের সম্পর্কেও জনগণের ধারণা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করলেন, বঙ্গবন্ধুর আপনজনরা কিভাবে তাকে হত্যা করলেন। এই আপনজনেরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় থাকতেন, ঘুমাতেন। ফারুক, রশিদ ও ডালিমরা সবাই শেখ কামালের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলো। এমনকি শেখ কামালের বিবাহ অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশতাক উকিল বাবা ছিলেন। আওয়ামী লীগের এতো নেতা থাকতে মোশতাক কিভাবে উকিল বাবা হলেন। সোনার বাংলা গড়ার কাজটা ১৫ আগস্ট তারা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরত যাত্রায় আছি। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। এখনও আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। তারা কোনঠাসা হয়েছেন, কিন্তু আত্মসমর্পণ করেননি। এখনও যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করেননি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
Posted ১৭:০৫ | রবিবার, ২৫ আগস্ট ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain