| মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর : বয়ে যাওয়া গরম ঝড়ো বাতাসে শেরপুরের তিন গ্রামের অন্তত শতাধিক কৃষকের সোনালী স্বপ্ন পুড়ে গেছে। তাদের বিস্তীর্ণ সবুজ ধান ক্ষেত এখন মড়া ক্ষেতে পরিণত হয়েছে। শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রাম, পাকুরিয়া গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার কারারপাড়া গ্রামে প্রায় ১শ একর বোরো ধানের ক্ষেত চিটা হয়ে গেছে। গাছের পাতা শুঁকিয়ে গেছে, ধানগুলো হয়েছে চিটা। এছাড়া আশপাশের বাঁশঝাড়, মেহগনি বাগানসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ বিবর্ণ হয়ে গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, রাত-দিন পরিশ্রম করে বোরো আবাদ করে ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন এখানকার কৃষকরা। কিন্তু মুহূর্তেই যেন সেই সোনালী স্বপ্ন পুড়ে যায়। শুক্রবার সুলতানপুর ও কারারপাড়া গ্রামের ক্ষেতের উপর
দিয়ে বয়ে যায় গরম বাতাস। একই অবস্থা শনিবার রাতে সদর উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের ক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে যায় গরম ঝড়ো বাতাস। আর মুহূর্তেই ধানের পাতাগুলো মরে যায়, ধান চিটা হয়ে যায়। এতে এসব গ্রামের প্রায় ১শ একর জমির
বোরো ধান চিটা হয়ে যায়। পাশাপাশি সবুজ পাতা হয়ে গেছে বাদামি হলুদ।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মনসুর, কালাম ও আক্কাস আলী জানান, আমাদের সব শেষ, ঋণ করে ধানগুলো লাগিয়ে ছিলাম, ধানও ভালো হয়েছিল, কিন্তু একদিনের ব্যবধানে ধানগুলো চিটা ও ধানের চারাগুলো মরা হয়ে
শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গরম বাতাসের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
তবে, এটা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে বুঝা যাবে আসল ঘটনা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে বলেন, আমি সরেজমিন বোরো ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করেছি। আমার কাছে দেখে মনে হচ্ছে, গরম বাতাসের কারণে ধানগুলো চিটা হয়ে গেছে, আর চারাগুলো মরার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু কেনো হয়েছে তা গবেষকরা বলতে পারবেন। তবে, আমরা আপাতত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, তারা যেনো জমিতে সেচ দিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করে। তাতে ফসলের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ১১:১৩ | মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin