| শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
ঢাকা, সাতক্ষীরা, রংপুর, চট্টগ্রাম, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ১১টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই ১১টি মামলায় সম্পৃক্ত ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, চলমান করোনা দূর্যোগে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। স্বাস্থখাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান এখনও চলছে। আগামীতে আরো মামলা হবে, আরো প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হবে।
শুক্রবার (২৬ জুন) দুদকের এক বিবৃতিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য ।
বিবৃতিতে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান কমিশন প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কমিশন ২০১৭ সালেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছিল। ২০১৯ সালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির (১১টি) উৎস ও তা নিয়ন্ত্রণে ২৫ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। ওই প্রতিবেদনটি বাস্তবায়ন করা গেলে হয়তো স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরা সম্ভব হতো।
চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি তুলে ধরে ইকবাল মাহমুদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির প্রতি করোনা প্রাদুর্ভাবের আগ থেকেই কমিশন সক্রিয় ছিল। কোভিড-১৯-এর চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির আরও অভিযোগ এসেছে। কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। এই অনুসন্ধানটি হতে হবে নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ। মানুষকে সবকিছু জানাতে হবে। দুদক কোনও কিছুই গোপন করে না, করবেও না। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও দালিলিক প্রমাণাদির মাধ্যমে যেমন অপরাধীদের আমলে আনতে হবে, তেমনই জনগণের কাছেও কমিশনকে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
তিনি বলেন, দুদক ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছিল। মূলত বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে জনগণের হয়রানি ও দুর্নীতি লাঘবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য এটা করা হয়েছিল। বেশ কিছু প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নও করেছে। এখন কমিশন থেকে এসব কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। আমরা চাই সবার সমন্বিত উদ্যোগে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিমুক্ত হোক।
ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের আমরা আগেই সতর্ক করা হয়েছিল উল্লেখ করে দুদক-প্রধান আরো বলেন, তার পরও কতিপয় লোভী মানুষকে প্রতিরোধ করা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, এদেরকে আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ত্রাণ আত্মসাতের মামলাগুলোর আর্থিক সংশ্লেষ কম হলেও মামলাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মামলাগুলো নিখুঁতভাবে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে।
Posted ২১:৫৩ | শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain