শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্পেনে কারফিউ-জরুরি অবস্থা জারি

  |   সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট

স্পেনে কারফিউ-জরুরি অবস্থা জারি

ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোলান্ডের মতো দেশগুলোতে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ফলে বিভিন্ন দেশে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

এদিকে স্পেনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারফিউয়ের পাশাপাশি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। রোববার থেকেই রাত্রিকালীন কারফিউ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। রাত ১১ থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

জরুরি অবস্থা জারির কারণে স্থানীয় প্রশাসন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে লোকজনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

দেশজুড়ে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে পার্লামেন্টে এই সময় বাড়িয়ে ছয় মাস করার প্রস্তাব তুলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। ‍

 

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অপরদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার প্রথম ধাক্কায় ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হচ্ছে স্পেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্পেনকে প্রথম থেকেই কঠোর লকডাউন জারি করতে হয়েছে যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি ছিল।

 

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময় একঘন্টা বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ থাকছে।

এছাড়া জনসাধারণের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাতায়াতের বিষয়ে আঞ্চলিক নেতাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নতুন বিধি-নিষেধের কারণে গণজমায়েত বা ব্যক্তিগত সাক্ষাতেও কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ছয়জন একসঙ্গে সমবেত হতে পারবেন।

 

রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, পরিস্থিতি চরম পর্যায়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর বলে উল্লেখ করেন তিনি।

স্পেনের অর্ধেকের বেশি রাজ্যেই কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। একই ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল গত এপ্রিলে যখন করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাব শুরু হয় তখন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে মারা গেছে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:১১ | সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com