| শুক্রবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব শহরে রাসায়নিক হামলার অভিযোগে সিরিয়ায় ৫০টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ওই হামলা চালানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মঙ্গলবারের হামলার জেরে আমি এই মিসাইল হামলার নির্দেশ দিয়েছি। সকল সভ্য জাতির উচিত সিরিয়ায় সংঘর্ষ বন্ধে সহায়তা করা।’
ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে সিরিয়ার সায়ারাত বিমানঘাঁটি থেকে ওই দিন রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছিল। সেজন্য আজ ওই বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছে।
সরকার নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ান টিভি চ্যানেলে বলা হয়েছে, আগ্রাসী যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও পরে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সিরিয়া বিরুদ্ধে যেসব সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র, তার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার বিমানগুলো আর উড়তে না দেয়া আর ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়ে সিরিয়ার রাডার ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, সিরিয়ার ভবিষ্যতের বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের আর কোন ভূমিকা থাকতে পারে না।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এ সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিল যে, বাশার আল আসাদের পদচ্যুতির বিষয়টি তাদের সিরিয়া নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নয়।
কয়েকদিন আগে ইদলিবে রাসায়নিক হামলায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নিহত হয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৭টি শিশু রয়েছে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হলেও, তা নাকচ করে আসছে দামেস্ক।
রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছিল, ওই রাসায়নিক হামলা বিদ্রোহীরা চালিয়েছিল সিরিয়া সরকার নয়।
Posted ০৫:০১ | শুক্রবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain