বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাকিবের চোটগ্রস্ত আঙুলটি আর কখনোই স্বাভাবিক হবে না

  |   শনিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট

সাকিবের চোটগ্রস্ত আঙুলটি আর কখনোই স্বাভাবিক হবে না

স্পোর্টস ডেস্ক: সাকিব অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার আগে দুসংবাদ দিয়ে গেলেন দেশবাসীকে । অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত হ্যান্ড সার্জন গ্রেগ হয়ের পরামর্শ নেবেন তিনি। তারপরই ঠিক হবে কখন অস্ত্রোপচার হবে তার বাঁ হাতের কনিষ্ঠায়। অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসককে দেখিয়ে পাঁচ দিন পর ফিরে আসার কথা সাকিবের। ইনফেকশন শূন্যতে নেমে আসলেই ছুরি-কাঁচির নিয়ে যেতে পারবেন তিনি। দেশ ছাড়ার আগে সাকিব সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, তার চোটগ্রস্ত আঙুলটি আর কখনোই স্বাভাবিক হবে না।

‘ইনজুরির দিক থেকে এটা সব থেকে বড়। এর আগে যে সার্জারিটা হয়েছিল ওটা খুব বেশি দিনের না। যদি ওটা প্রথমেই সঠিক ট্রিটমেন্ট পেত, তাহলে অনেক কম সময়ে ঠিক হয়ে যেত। এই মুহূর্তে হাতটা পুরোপুরি তো আর ওইভাবে ঠিক হবে না, ক্রিকেট খেলার মতো ঠিক করতে হবে আঙুলটা। কারণ, এটা নরম হাড্ডি। এটা আর কখনও জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। তাই পুরোপুরি ঠিক হবে না। কিন্তু সার্জারির মাধ্যমে ওরা এমন একটা সিচুয়েশনে এনে দেবে, যেখান থেকে আমি ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট খেলাটা চালাতে পারব।’- অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাওয়ার আগে এমন দুঃসংবাদই দিয়েছেন সাকিব।

এই ইনজুরিতে এ বছর আর মাঠে নামা হচ্ছে না সাকিবের। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা আছে তার। এর আগে জানুয়ারিতে বিপিএল দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে পারেন তিনি। এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘তিন মাসের যে সময়সীমা, তার এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত তো আমি আশাবাদী যে (নতুন বছরের) প্রথম থেকেই খেলতে পারব। এখন অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি, ওরা যদি ভালো কোনও ট্রিটমেন্ট দিতে পারে, তাহলে আরও তাড়াতাড়ি হয়তো সারার সম্ভাবনা থাকবে। এখন ইনফেকশনটা দূর করতে হবে। ওটা চলে গেলেই আসলে বোঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর মূল সার্জারি হয়ে গেলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে। আশা করি বিপিএলের বেশ আগেই ফিট হয়ে যাব।’

চিকিৎসার অংশ হিসেবে সাকিবকে বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। যার সবশেষটি দেওয়া হয়েছে গত মঙ্গলবার। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন তেমনটাই, ‘আপাতত আমরা অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার মধ্যেই আছি। এভাবে আরও সপ্তাহখানেক চলার পর ওর ইনফেকশনের জায়গা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাওয়া চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন নিদাহাস ট্রফি, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ এবং সর্বশেষ এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচ। আমাদের সময় ডটকম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৩২ | শনিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com