| সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যায় দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন মেয়র হালিমুল হক মিরু। শিমুলের মৃত্যুর তিনদিন পর রাজধানীতে আটকের পর সিরাজগঞ্জে মিরুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চাইছেন না।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, এই ঘটনায় নিজের সমম্পৃক্ততা স্বীকার করছেন না মিরু। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন পুলিশ সুপার।
গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মেয়র মিরুর বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক শিমুল। তিনি ওই বাড়ির বাইরে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ওই সংঘর্ষেও পর প্রকাশ হওয়া এক ভিডিওতে মেয়র মিরুকে তার লাইসেন্স করা শটগান হাতে দেখা গেছে। শিমুলের জানাজায় শনিবার সিরাজগঞ্জের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেয়র বিরুর গুলিতেই নিহত হয়েছেন শিমুল।
শুক্রবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথে শিমুলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মেয়র মিরু, তার দুই ভাইসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন শিমুলের স্ত্রী শামসুন্নাহার।
মামলার পর পর গ্রেপ্তার হন মিরুরর দুই ভাই। এর আগে বার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে শটগান এবং ৪৩টি গুলি জব্দ করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যান মেয়র মিরু। আর রবিবার রাতে তিনি রাজধানীতে গ্রেপ্তার হন। এরপর তাকে সিরাজগঞ্জ নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাবাসাদ করে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের সময় শিমুলের মাথা থেকে গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি পৌর মেয়রের শটগানের গুলি কি না তা নিশ্চিত হতে তার শটগান ও ৪৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। এসব গুলি এবং সাংবাদিকের মাথা থেকে উদ্ধার হওয়ার গুলি ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।’
দুপুরে মিরুকে সিরাজগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। তবে তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে কি না তা জানাননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম, আবু ইউসুফ, সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওহেদুজ্জামান।
Posted ০৭:২৮ | সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain