| শনিবার, ২২ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
২২ মার্চঃ উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে তাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম দৃশ্যমান করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা ঠেকাতে তাদের আরো সক্রিয় হওয়ার এ নির্দেশনা দিয়ে শনিবার সশস্ত্র বাহিনী প্রধান বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পক্ষে নির্বাচন কমিশনের উপসিচব মীর সারওয়ার মোর্শেদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বরাবর। তাতে বলা হয়েছে- আগামী ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যে কোনো সহিংষতা রোধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি/কার্যক্রম নির্বাচনী এলাকায় দৃশ্যমান করার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কোনো প্রকার দাঙ্গা হাঙ্গামা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নজরে আসামাত্র সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তা সিআরপি (কোড অব ক্রিমিনিাল প্রসিডিউর-১৮৯৮) এর ১৩১ ধারা অনুসারে তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। ভোট গ্রহণের আগে ও পরে মিলে পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতায়েন থাকছে। কিন্তু তারপরও সহিংসতা ঠেকানো যাচ্ছে না বরং বেড়েই চলছে। নির্বাচন কমিশন বরাবর এসব সহিংসতাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করলেও শনিবার তা একপ্রকার স্বীকার করেছে। আর এ কারণেই সেনাবাহিনীকে আরো সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিকেলে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার ব্রিফিংয়ে এও স্বীকার করেন যে, উপজেলা নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলো জয়ে জন্য মরিয়া হয়ে ওঠায় সহিংসতা বাড়ছে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সতর্ক হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থেকে নির্বাচন পরিচালনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্দেশ করে গতকার শুক্রবার একটি ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন সিইসি রকিবউদ্দিন আহমদ।
Posted ১২:০৩ | শনিবার, ২২ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin