ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলনে দেশবাসী আজকে রাস্তায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি- এই অবৈধ ফেসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনে নিয়ে এই আন্দোলন সফল করব। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হয়ে গেছে।
খসরু বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা আজকে একটাই। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা, চরম দুর্নীতি লুটপাট- সবকিছুর মূলে একটি জায়গা। সেটা হচ্ছে জনগণকে বাইরে রেখে জোর করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল। যারা জোর করে বসে আছে, তাদের অপসারণই হচ্ছে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ।
জোর করে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদের পতন ছাড়া এসব সমস্যার সমাধান হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি জায়গা হচ্ছে সরকারের পতন করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। তার মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। একটি নির্বাচিত সংসদ একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হবে। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে। মানুষ বাংলাদেশের মালিকানা ফিরে পাবে।
খসরু বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের লোকেরাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে সেখান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওনাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলার পরেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এসবের উদ্দেশ্য একটাই; ওনাকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বাইরে রেখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া, সেটা যেন তারা সফলভাবে করতে পারে। তারা ভীত-শঙ্কিত হয়ে ওনাকে আজকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে দিচ্ছে না। এটাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটি সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লিয়াজোঁ কমিটি সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এছাড়া গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান ছাড়াও বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সামছুল আলম, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
