ঢাকা :  খেলাফত মজলিসের আমীর সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশকে গুম, খুনের রাজত্বে পরিণত করেছে। বর্তমান সরকারের গুম, খুন, অপহরণের দুঃশাসন থেকে জাতি মুক্তি চায়। সরকার দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ভুলুন্ঠিত করে ক্ষমতা আকড়ে রয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন এ সরকার আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাসউদ খান, নায়েবে আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক এম কে জামান, শেখ গোলাম আসগর, সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মুক্তিযোদ্ধা শফিউল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হালিম, মাওলানা নূরুজ্জামান খান, অধ্যাপক কে এম আলম, মাওলানা নোমান মাজহারী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, আলহাজ্ব আবু সালেহীন, আমিনুর রহমান ফিরোজ, অ্যাডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান, মাওলানা আবু আবদুল্লাহ, মাওলানা নূরুল আলম আল-মামুন, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা জিন্নাত আলী, মাওলানা ফরিদ আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা সাঈদ আহমদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইসহাক বলেন, দেশের আলেম- ওলামাদের কন্ঠরোধ করে দেয়ার জন্যে বর্তমান সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, খেলাফত মজলিসকে তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃতির জন্যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে হবে। আমাদেরকে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

নায়েবে আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ওলামাদের রক্ত ঝড়িয়ে ইসলামকে মিটিয়ে দেয়ার সরকারী ষড়যন্ত্র সফল হবে না। মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকারের নতজানু পর রাষ্ট্রনীতির কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভায় আগামী ২১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত সারাদেশে সাংগঠনিক পক্ষ পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।