শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে কোটা উঠে গেলে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন: হাছান মাহমুদ

  |   শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট

সরকারি চাকরিতে কোটা উঠে গেলে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন: হাছান মাহমুদ

সরকারি চাকরিতে কোটা উঠে গেলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ ব্যবস্থা রাখবেন বলে বিশ্বাস করেন হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে ‘কোটা থাকার দরকার নেই’ বলে প্রধানমন্ত্রী তার মত জানিয়েছেন। তবে এটি শুধু বিসিএসের ক্ষেত্রে নাকি সব চাকরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, সেটি প্রজ্ঞাপন জারির পর বুঝা যাবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ৪০ শতাংশ জেলা কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ শতাংশ ছিল নারী কোটা। পরে জেলা কোটা ধাপে ধাপে কমিয়ে ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করা হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধা আর নারী কোটায় কখনও হাত দেয়া হয়নি।

১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদেরকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়। আর পরে নাতি-পুতিদেরকেও এই সুবিধা দেয়া হয়।

শুরুর দিকে প্রধানত জামায়াতপন্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছে। তবে সম্প্রতি কোনো বিশেষ কোটার কথা না বলে মোট কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আসার কথা বলে আন্দোলন শুরু করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।

এই আন্দোলন শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলেও দেশের প্রায় সব কটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি সরকারি চাকরিতে অনাগ্রহী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে নামে।

আর বুধবার সংসদে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কার করতে গেলে, কয়দিন পর আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। কোটা থাকলেই হবে সংস্কার। আর না থাকলে সংস্কারের কোনো ঝামেলাই নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই।’

প্রধানমন্ত্রী ওই ভাষণে প্রতিবন্ধী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার কথাও বলেন। তবে সবচেয়ে বড় আলোচনা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এতদিন যারা সুবিধা পেয়ে আসছেন, তাদেরকে কীভাবে সুবিধা দেয়া হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলেননি শেখ হাসিনা।

আবার প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সরকারকে যে আহ্বান জানাচ্ছে, এই আহ্বান নিশ্চই সরকারের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছেছে। এটা সরকার নিশ্চয়ই দেখবে।’

কোটা আন্দোলন ‘সফল’ হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে একে সরকারের পরাজয় বলা হয়েছে। ছাত্রদের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক সরকার’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নামার কথা বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর বিএনপির ‘বিজয় সন্নিকটে’ বলে মনে করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপি নেতাদের এমন প্রতিক্রিয়ারও জবাব দিয়েছেন হাছান। বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে বার বার ব্যর্থ হয়ে ‘পরগাছা দলে’ পরিণত হয়েছে। তেল-গ্যাস কমিটির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিল। এখন আবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে বিএনপি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে হামলা আর তারেক রহমানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের এক অধ্যাপকের ফোনালাপ একই সুত্রে গাঁথা বলেও মনে করেন হাছান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ সভাপতির ইশরাত জাহান এশার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেয়ার গুজবের পর তদন্ত ছাড়া তাকে বহিষ্কার মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ছিল বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা।

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রচার উপ কমিটির সদস্য আশরাফ সিদ্দিকী বীটু, দপ্তর উপ কমিটির সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩২ | শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com