| শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
বর্তমান সরকার শিক্ষা আলো ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বর্তমানে আমাদের ১৫১টা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে ৪৮টা পাবলিক ও ১০৩টা প্রাইভেট। আমাদের একটা লক্ষ্য হচ্ছে, যত বড় বড় এলাকা আছে, যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। যেখানে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় নাই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। উদ্দেশ্য একটাই যাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে যাতে শিক্ষাটা পায়।
শনিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। সংবিধানে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে তিনি উন্নত করতে চেয়েছিলেন। আমরা তার আদর্শ বাস্তবায়নে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। আমরা শিক্ষানীতি তৈরি করি। আমরা মানুষের মধ্যে শিক্ষার আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। ৯৬ সালে প্রথম থোক বরাদ্দ দেয়া হয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।বেষণা ও বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানান, উচ্চশিক্ষা প্রসারে বিশেষ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। কারিগরি, বিজ্ঞানসহ সব ধরনের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কারিকুলাম পরিবর্তন করেছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়ে বসে নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যা যা করণীয় তার সবকিছুই আমরা করে যাচ্ছি।
শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া ঠেকাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপউল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী তার শাসনামলে শিক্ষাক্ষেত্রে নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে গবেষণা ও বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতাসহ আমাদের দেশের সকল আন্দোলনের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করি। গবেষণা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাম পর্যন্ত মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।যারা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করে- তারা কখনও দেশের উন্নয়ন করতে পারে না। নিজেদের নয়- দেশের ভাগ্য ফেরানোয় ভাবনায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ।
এ সময় উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী।
Posted ২২:৪৭ | শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain