শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সপ্তাহে চার দিন অফিস! শুরু হল ট্রায়াল

  |   বুধবার, ০৮ জুন ২০২২ | প্রিন্ট

সপ্তাহে চার দিন অফিস! শুরু হল ট্রায়াল

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছরে বিশ্বজুড়ে বদলে গেছে নানা নিয়মকানুন। এই সময়ে নতুন গতি পায় ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় অফিস-আদালত নিয়মিতভাবে খুললেও কর্মঘণ্টা কমানোর একটি জোর তাগিদ ছিল বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে। এবার ভিন্নভাবে সেই পথেও হাঁটল বেশ কিছু কোম্পানি। কর্মঘণ্টা না কমিয়ে, বরং অফিসে হাজিরার দিনই কমিয়ে দিল যুক্তরাজ্যের ৭০ কোম্পানি। তবে এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, এতে কর্মোৎপাদনের কোন ক্ষতি হয় কি না, তা যাচাই করতে ট্রায়াল শুরু করেছে কোম্পানিগুলো।

 

জানা গেছে, গত ৬ জুন থেকে চার দিনের এই কর্ম সপ্তাহ শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যর হাজারো কর্মী। এতে তাদের বেতনে কোনও ধরনের কাটছাঁট করা হবে না। চার দিনের কর্ম সপ্তাহ বিষয়ক এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ট্রায়াল।

 

নতুন এই নিয়মে কর্মীরা ছয় মাস ধরে সপ্তাহে ৪ দিন কাজে যাবেন। অর্থাৎ, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এই ছয় মাস তারা ৮০ শতাংশ কম সময় দিবেন অফিসে।

 

এসময়টায় কর্মীদেরকে তাদের বেতনের শতভাগই দেওয়া হবে; বিনিময়ে স্বাভাবিক সময়ের মতো কর্মোৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে হবে তাদেরকে।

 

নতুন এই ট্রায়ালের অধীনে রয়েছে ৭০টি কোম্পানিতে কর্মরত ৩ হাজার ৩০০ কর্মী। আর্থিক পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে একটি ফিশ-অ্যান্ড-চিপ রেস্তোরাঁও রয়েছে এই তালিকায়।

 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বোস্টন কলেজের গবেষকদের সাথে অংশীদারিত্বে এই প্রোগ্রামটি অলাভজনক ফোর ডে উইক গ্লোবাল (থিংক ট্যাংক) ও ফোর ডে উইক ইউকে ক্যাম্পেইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

 

লন্ডনের প্রেশার ড্রপ ব্রিউইং-এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার সিয়েনা ও’রউর্ক সিএনএন বিজনেসকে বলেন, তাদের কোম্পানির সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক সুস্থতার উন্নতিসাধন।

 

তিনি বলেন, “আমরা কর্মীদের জীবন উন্নত করতে এবং বিশ্বের একটি প্রগতিশীল পরিবর্তনের অংশ হতে এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছি।”

 

যেহেতু কোম্পানিটি মূলত পণ্য উৎপাদন এবং শিপিং এর কাজ করে, তাই কর্মীরা কখন এবং কোথায় কাজ করবে তা নিয়ে ফ্লেক্সিবিলিটি কম। তবে, ছুটি এবং সিক লিভের দিনগুলো তারা একটি দল হিসেবে পরিচালনা করবেন বলে জানান সিয়েনা ও’রউর্ক।

 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বড় দুটি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে আইসল্যান্ড। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে চলা ওই ট্রায়াল দুটিতে ২ হাজার ৫০০ জন সরকারি খাতের কর্মী অংশ নেন।

 

এই ট্রায়ালগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কর্মোৎপাদনশীলতায় তেমন কমতি দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে কর্মীদের স্বাস্থ্যেরও কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি।

 

সাম্প্রতিক বছরে বেশ কয়েকটি দেশে কার্যদিবস কমানো নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে মহামারী চলাকালীন সময়ে লাখ লাখ কর্মচারী বাড়ি থেকেই কাজ করায় কার্যদিবস কমানোর বিষয়টি আরও জোরদার হয়ে উঠেছে।

 

যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি চলতি বছরের শেষের দিকে স্পেন ও স্কটল্যান্ডেও একই ধরনের ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে বলে ফোর ডে উইক ক্যাম্পেইনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিত থেকে জানা গেছে।

 

ফোর ডে উইক গ্লোবালের সিইও জো ও’কনর বলেন, “করোনা মহামারীর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার পর আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানি স্বীকার করছে যে, তাদের নতুন লক্ষ্য হল কর্মীদের জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা। কর্মদিবস কমিয়ে আনা এবং আউটপুট কেন্দ্রিক কাজ তাদেরকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।”

 

এই ট্রায়ালে গবেষকরা দেখবেন নতুন এই প্যাটার্ন কর্মোৎপাদনশীলতার মাত্রা, লিঙ্গ সমতার পাশাপাশি কর্মীদের সুস্থতায় কী ধরনের প্রভাব পড়ে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানসিএনএনওয়াশিংটন পোস্টসায়েন্স এলার্ট

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৫:১৩ | বুধবার, ০৮ জুন ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com