শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ৬ কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ৩০ নভেম্বর

  |   শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট

শেরপুরে ৬ কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচন ৩০ নভেম্বর

শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর : আগামী ৩০ নভেম্বর শেরপুরে ৬ কেন্দ্রের পুনঃনির্বাচন । তবে, এখনও থমথমে বিভিন্ন এলাকা। শংকায় রয়েছেন ১৭ হাজার ভোটার। জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের দিন ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট সিলমারার অভিযোগে কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭ নম্বর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুড়িয়া চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গনই ভরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ কেন্দ্র, চরশেরপুর ইউনিয়নের নাগপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কামাড়িয়া ইউনিয়নের খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। এই ৬ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। এসব কেন্দ্রে সহিংসতায় অন্তত ৪০ জন গুরুতর আহত হয়।

রামদা, কিরিছ, বল্লমসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলে প্রতিপক্ষ ও সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘরে আক্রমণ। ৬ ও ৭ নম্বর চরে শান্তি ফেরাতে নির্বাচনের পরের দিন থেকে এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। সহিংসতাকে ঘিরে অন্তত ৮টি মামলা হয়েছে, আসামি করা হয়েছে ৩ শতাধিক। এলাকায় প্রতিদিন পুলিশ টহল তো থাকছেই। অত্যন্ত স্পর্শকাতর ৬ ও ৭ নম্বর চরের ভোট কেন্দ্র বদল করে নিরপেক্ষ ভোট কেন্দ্র পাশের গ্রামের স্কুলে করা হয়েছে। প্রশাসনের কঠিন হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও এখনও অবস্থা থমথমে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে না যেতে এখনও প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ভোটারদের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। ত্রাস সৃষ্ঠিকারীরা নিরীহ ভোটারদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতার ভয়ে এসব এলাকার ১৭ হাজার ভোটার ব্যাপক দূশ্চিন্তায় রয়েছেন।

এদিকে, এসবকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না প্রশাসন। শেরপুরের (ইউপি নির্বাচন) আগামি দিনের ভোট নির্বিঘ্ন করতে গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ বিভাগের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তারা এসে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারিদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। পুনঃভোট অঞ্চলের মানুষরা বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে ভোট চেয়েছেন।

একাধিক প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানুষ ভয়ের মধ্যে আছে। হুমকি ধামকি চলছেই, ঝুঁকি নিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে আগ্রহ নেই। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসক বা পুলিশের মাধ্যমে মাইকিং করে ভোটারদের আশ্বস্থ করলে
মানুষজনের আস্থা ফিরতে পারে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা (ইএনও) মেহেনাছ ফেরদৌস বলেন, ‘প্রশাসন জিরো টলারেন্স থাকবে। সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা প্রশাসন দেবে। কোন অবস্থায় সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না। মাইকিং করার বিষয়টি বিবেচনায়
আছে।’ জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেছেন, ‘নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট হবে।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২০:২৩ | শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com