শাহরিয়ার মিল্টন | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
শেরপুর : যৌতুকের দাবিতে শেরপুরে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদÐ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচÐ মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রæয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন।
বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদÐ ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
Posted ০৮:০২ | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin