বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ভাটি এলাকায় বন্যার পানি বাড়ছে

  |   সোমবার, ২০ জুন ২০২২ | প্রিন্ট

শেরপুরে ভাটি এলাকায় বন্যার পানি বাড়ছে

শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর : শেরপুরে বন্যার পানি উজানে কিছুটা কমলেও বাড়ছে ভাটি এলাকায়। এতে ভাটি এলাকার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) থেকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলাসহ জেলায় ১৩ টি ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, নতুন করে আরও ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ায় ইউনিয়নের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ টিতে এবং গ্রামের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫টিতে। অন্যদিকে বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় সরকারিভাবে নতুন করে আরও ১০ লাখ টাকাসহ এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গত রবিবার(১৯ জুন) ভোর থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী, সোমেশ^রী নদী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়তে শুরু করেছে সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্যমতে, শেরপুর জেলায় ব্রহ্মপুত্র ছাড়া সকল নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮২ সে.মি. ও নালিতাবাড়িতে ২২৮ সে.মি. নীচ দিয়ে এবং চেল্লাখালি নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৮ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার ৩২৫ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী সদরে পানি কমায় ভেসে ওঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। ওইসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট, কাঁচা ঘর-বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে শতশত মাছের পুকুর। এছাড়া অনেক গবাদি পশুপাখিসহ কিছু এলাকায় চলতি আউশ আবাদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে রবিবার সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়ন ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তামারা তাসবিহা জানান, প্রথম দফায় বরাদ্দ পাওয়া ৬০ মে. টন চাল, ৩ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় বিতরণের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। চাহিদামূলে নতুন বরাদ্দ পাওয়া টাকা ও শুকনো খাবারও দ্রুতই বিতরণের ব্যবস্থা হচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৩ | সোমবার, ২০ জুন ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com