বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র-উন্নয়নের বিকাশ ঘটে’

  |   রবিবার, ১২ জুন ২০২২ | প্রিন্ট

‘শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র-উন্নয়নের বিকাশ ঘটে’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্রিক অধিকার ফিরে এসেছে, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

 

আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সামনে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ‘১১ জুন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে এসেছে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের বিকাশ ঘটেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। তখন থেকেই তিনি আমাদের গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা, মাদার অব হিউম্যানিটি, জননেত্রী।

 

১/১১-এর কুশিলব ও সুশীল সমাজের একটি অংশ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্ব যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করছে, তখন একটি মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর রয়েছে।

 

পরশ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনে দেশের রাজনীতির ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। বিএনপি-জামায়াত একতরফা সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে সেনানিয়ন্ত্রিত অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

 

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে সর্বস্তরের মানুষ এক হয়েছিল। ঢাকার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর করেছিল। ১/১১ ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, আসলে শেখ হাসিনাকে হটানোর প্রয়াস। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে খালেদা জিয়াকে হটানোর যথেষ্ট কারণ তৈরি করেছিলেন তিনি এবং তার ছেলে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের কোন কারণ বা ক্ষেত্র ছিল না। তাকে ভিন্ন কারণে টার্গেট করা হয়েছিল। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, দেশপ্রেমী এবং পশ্চিমা শাসকদের রক্তচক্ষু ভয় করেন না। তাকে (শেখ হাসিনা) রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ‘মাইনাস টু ফর্মূলা’ হাজির করা হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং অনড় দাবির কারণে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

 

১১ জুনকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস’ এবং ‘মাইলফলক’ আখ্যা দিয়ে তাপস বলেন, মনে রাখা দরকার- সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার মুক্তি না হলে তৎকালীন সরকার অতীতের মতো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতো। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকতো না। সে কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১১ জুন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিনটি শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসই নয়, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস এবং মাইলফলকের একটি অধ্যায়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

 

এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:১৬ | রবিবার, ১২ জুন ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com