| শুক্রবার, ০৪ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে কোনো রুশ নাগরিক ভুয়া তথ্য ছড়ালে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান একটি বিল পাস হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে। এখন এটি যাবে উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলে। উচ্চকক্ষে পাস হলে বিলটি যাবে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে। প্রেসিডেন্টে স্বাক্ষর করা মাত্র আইনে পরিণত হবে বিলটি।
শুক্রবার দুমার চেয়ারম্যান ভায়াশ্চেসলেভ ভলোদিন এক বিবৃতে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এই আইন কার্যকর হবে। যারা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে মানসিকভাবে দুর্বল করার হীন চেষ্টা করবেন, তাদের জন্য কঠিন সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
‘(ইউক্রেন ইস্যুতে) কারো বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে তাদের সবাইকেই যে ১৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে- এমন নয়। তার ছড়ানো তথ্যের ফলাফলের ওপর সাজার মেয়াদ নির্ধারিত হবে।
এছাড়া, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে তদবির করছেন— এমন প্রমাণ যদি কোনো রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে পাওয়া যায়, তাহলে তাকে কারাবাসের সাজাভোগ বা জরিমানা দেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে নতুন এই আইনে।
উল্লেখ্য, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অভিযান শুরুর পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো ইউক্রেনের পক্ষে সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে। এই ব্যাপারটি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে রুশ সরকারি কর্মকর্তাদের।
তাদের অভিযোগ— রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকদের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে ইচ্ছাকৃতভাবেই এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করছে পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমগুলো।
‘একপেশে’ সংবাদ প্রকাশ ও পরিবেশনের অভিযোগে ইতোমধ্যে নিজ দেশে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সাইট সীমিত করেছে রাশিয়া। সূত্র: রয়টার্স।
Posted ১৫:৪৩ | শুক্রবার, ০৪ মার্চ ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain