| মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ঢাকায় অবৈধ রিকশা ও অবৈধ যানচলাচল বন্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার ডিএসসিসি নগর ভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন বন্ধ, ফুটপাত দখলমুক্ত এবং অবৈধ পার্কিং বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করার লক্ষ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে বৈঠকে পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি ও গাজীপুর), বিআরটিসির চেয়ারম্যান, বিআরটিএ, রাজউক, সড়ক পরিবহন নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। মতিঝিল, নিউ মার্কেট ও গুলিস্তান এলাকায় ফুটপাত হকার মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারপরও তাদের বলা হয়েছে অফিস সময় শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ বিকেল পাঁচটার পর তারা ফুটপাতে বসতে পারবে। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে হকাররা ফুটপাত দখল করে রেখেছেন।
তিনি বলেন, এ সমস্ত ফুটপাত যেন অফিস চলাকালীন সময়ে স্থায়ীভাবে হকার মুক্ত থাকে সে বিষয়ে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব। এ লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একযোগে কাজ করবে।
এছাড়া যেসব ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড না মানায় বিল্ডিংয়ের র্যাম্প ফুটপাতে চলে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানান মেয়র।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাসিনোসহ এমন সব অপকর্মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে আমরা সাধুবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই থ্যাংক ইউ পিএম। এসবের সঙ্গে জড়িত জনপ্রতিনিধি বা যারাই থাকুক না কেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শূন্য সহিঞ্চুতার প্রদর্শন করে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
সাঈদ খোকন বলেন, যদি কোনো কাউন্সিলর এসবের সঙ্গে জড়িত থাকে আইন অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একজন নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সমর্থক, সাহায্য এবং সহযোগিতা করব।
একজন কাউন্সিলর ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত, সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মেয়র বলেন, একজন কাউন্সিলর আমাদের বোর্ড সভায় প্রায়ই অনুপস্থিত থাকতেন এবং বিদেশ ভ্রমণ করতেন। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া যেন বিদেশ যেতে না পারে সে জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
Posted ১৫:৫১ | মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain