বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানী এলিজাবেথকে কেন হত্যা করতে করতে চেয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত শবন্ত সিং চাহেল ?

  |   বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট

রানী এলিজাবেথকে কেন হত্যা করতে করতে চেয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত শবন্ত সিং চাহেল ?

স্বাধীনদেশ অনলাইন : গতবছর ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের উৎসবের মাঝেই আচমকা রানী এলিজাবেথের উইন্ডসর ক্যাসেলে ঢুকে পড়ে মুখোশ পরা এক ব্যক্তি। তবে তাঁর উদ্দেশ্য সফল হয়নি। রানীকে খুনের ছক কষলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে সে নিজের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে। বলে, “আমি রানীকে হত্যা করতেই গিয়েছিলাম।” অভিযুক্তের নাম যশবন্ত সিং চাহেল। ব্রিটেনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের সম্মুখীন হওয়া বছর কুড়ির যশবন্ত লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে  জানিয়েছে হামলার ষড়যন্ত্র এবং রাজপ্রাসাদে প্রবেশের চেষ্টা করার জন্য সে মাসের পর মাস লন্ডনে কাটিয়েছে। গতবছর পরিকল্পনা মাফিক ক্রিস্টমাসের সময় রাজপ্রাসাদে অতর্কিতে প্রবেশও করে ফেলেছিল। হাতে ক্রস আর মুখে মাস্ক পরে একটি ভিডিও শ্যুট করেছিল যশবন্ত। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি দুঃখিত। যা করতে চলেছি তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

আমি রানী এলিজাবেথকে হত্যা করতে চলেছি। ১৯১৯ সালে যাদের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের প্রতিশোধ নিতেই এটা করছি।”১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল অমৃতসরের কাছে জালিয়ানওয়ালাবাগে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল। ব্রিটিশ সৈন্যরা উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাদের পবিত্র শহর অমৃতসরে প্রায় ৪০০ শিখকে গুলি করে হত্যা করেছিল। যশবন্ত আদালতকে জানিয়েছে, ”এটি তাদের জন্যও প্রতিশোধ, যারা তাদের জাতিগত কারণে হত্যা, অপমানিত এবং বৈষম্যের শিকার হয়েছে।” ভারতীয়রা দীর্ঘদিন ধরে ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার জন্য ব্রিটেনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চেয়ে আসছে, যেখানে ব্রিটিশ সেনারা ঔপনিবেশিক আইনের প্রতিবাদ করতে সমবেত হওয়া নিরস্ত্র নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করেছিল।

এই ঘটনাটি জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যা নামেও পরিচিত। ১৯৯৭ সালে ভারত সফর করার সময়, রানী এলিজাবেথ গণহত্যার ঘটনাস্থলে একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন এবং এটিকে “দুঃখজনক ঘটনা ” হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। ভিডিওলিংকের মাধ্যমে বুধবার আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেওয়া চাহেল তার নাম, জন্ম তারিখ এবং বাসস্থান নিশ্চিত করেছেন। সওয়াল -জবাবের সময়ে চাহেল বিচারককে বলেন, রাজপরিবারের দুর্গে অনুপ্রবেশের দিন রাণী, প্রিন্স চার্লস এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউশন অনুসারে, চাহেল  সকাল ৮.১০ টায় দুর্গে প্রবেশ করেছিল এবং এক নিরাপত্তারক্ষী তাকে এমন একটি স্থানে দেখেছিল যেখানে অনুপ্রবেশকারী দুর্গের ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্টগুলিতে সহজেই প্রবেশ করতে  পারে।

প্রসিকিউশনের মতে, বাজেয়াপ্ত করা ক্রসবোটি ছিল একটি “সুপারসনিক এক্স-বো”, যার লঞ্চ করা বোল্ট মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে। তাছাড়াও একটি গ্যাস মাস্ক, দড়ি, এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চাহালের বাসস্থান অনুসন্ধানের সময় উদ্ধার হয়। চাহালের বিরুদ্ধে মৃত্যুর হুমকি,বিপজ্জনক অস্ত্র রাখা  এবং ১৮৪২ সালের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ধারা ২ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে লন্ডনের ওল্ড বেইলিতে।সূত্র : wionews.com

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৫৩ | বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com