শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

মির্জা ফখরুল বলেছেন, সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে পদত্যাগ করতে হবে সরকারকে। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

 

আজ দুপুরে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

 

ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং ভোটের অধিকার প্রয়োগসহ মুক্তমত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে।

 

আজকে দেশে, মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছে। দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের এক মহোৎসব চলছে। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন নিপীড়ন করছে।

 

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী মতের দলগুলো এবং দেশবাসী এই সরকারের অধিনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সেসময় সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যাচার ও অলীক কথা বলেন।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না এবং জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সংসদ ভেঙে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর আজ গণদাবি।

 

এই সরকার দেশের মানুষের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এবং অধিকার হরণের জন্য রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ যথা আইন, শাসন এবং সর্বশেষ বিচার বিভাগকে দখল করেছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বিরোধীমতের মানুষসহ দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বর্তমান সংসদকে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার স্তব্ধ করে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সকল কালাকানুন তৈরি করেছে। শাসন বিভাগকে ব্যবহার করে যখন তখন যে কোনো মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও খুন এই অবৈধ সরকারের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

 

‘সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সরকারপ্রধানের ইচ্ছামতো মানুষকে কারাগারে বন্দি রাখা, নির্যাতন করা বিচার বিভাগের অবৈধ সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশি রায় প্রদান করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা-হামলায় কারাগারে প্রেরণ ও সাজা প্রদান করছে।

 

ফখরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতের জামিন থাকার পরেও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে নিম্ন আদালত কারাগারে প্রেরণ পাঠিয়েছে। যা আইনের শাসনের পরিপন্থী।

 

‘বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, বিএনপি নেতা মিয়া নূরুদ্দিন অপু, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বিরকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ কারাবন্দি করে রেখেছে।

 

এছাড়াও যুবদলের সহ-সভাপতি ইউসুফ বিন কালু, সাবেক সহ-সভাপতি আলী আকবর চুন্নু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাবেক কমিশনার হারুন অর রশিদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে সাবেক বিচারপতি আওয়ামী নেতা শামসুদ্দিন চৌধুরী মনিকের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে আটক রেখেছে। বারবার জামিন চেয়ে আবেদন করলেও এই মামলায় তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

 

বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফর জামান বাবর, কাজী সলিমুল হক কামালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সাজা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষে বিগত দিনের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা নতুন করে শুরু করছে।

 

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে আইন মন্ত্রণালয় মামলার তালিকা প্রস্তুত করছে। এই সকল হীন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার তথা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:১১ | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(728 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com