| মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে রাজনীতিতে পরিত্যক্তকরা জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ ধরণের সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা সুযোগ কোনোটাই নেই। বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের যারা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা সবাই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ। তারা একসময় অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন, কিন্তু এখন রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত। রাজনীতিতে পরিত্যক্তরা তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ ধরণের প্রস্তাব দিচ্ছেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই।
আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে খেলাফত মজলিসের নেতারা জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে ‘চোরাগলির পথ খুঁজছে’।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এজন্য সবসময় তাদের ভোট থেকে পলায়নপর মনোবৃত্তি। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, ২০১৮ সালে নির্বাচন থেকে পালাতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক নাটকীয়তার পরে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ তার ইতিহাসে জনগণের রায় ব্যতিরেকে অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় যায়নি। আর বিএনপি’র ইতিহাস হচ্ছে চোরাপথে ক্ষমতায় যাওয়া।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি নেতাদের ধারাবাহিক সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের জনগণের ওপর কোনো আস্থা নেই। তাই তারা সংলাপ নিয়ে এ ধরণের বক্তব্য দিচ্ছেন। নির্বাচন নিয়েও অবান্তর কথা বলছেন।
তিনি বলেন, তারা যে জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, সেটি তারা জানেন। তাই এখন বিএনপি চোরাগলির পথ খুঁজছে, কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু চোরাগলির পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হয়ে গেছে।
সোমবার পাবনাতে বিএনপির সমাবেশে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও একজন যুবদল নেতার ছুরিকাহত হয়েছেন। সেই সমাবেশেই বিএনপি নেতারা মন্তব্য করেন, সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।
এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য অন্য কারো প্রয়োজন নেই, তারা নিজেরাই নিজেদেরকে দুর্বল করে দিচ্ছে। তাদের এই মারামারিগুলোই হচ্ছে তার বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি যেখানেই সমাবেশ করছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সেখানেই নিজেরা মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা শুধু পাবনাতে নয়, সারাদেশেই ঘটছে। তবে ফেনীতে তারা কি কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে জানি না, যদি জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে সমাবেশ স্থগিত করে থাকে সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
Posted ১৫:৪৩ | মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain