| বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কড়াকড়ির কারণে গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রায় সবগুলো রুটেই গাড়ি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
এসময় সাধারণ মানুষকে গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দুই-একটি বাস আসলেও সেগুলোতে তিল ঠাঁই নেই।
অনেকে পায়ে হেঁটে, রিকশা বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী যাত্রী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক-বীমায় কর্মরত হাজার হাজার মানুষকে অফিসে যাওয়ার জন্য সিএনজি ও ট্যাক্সির মতো ব্যয়বহুল পরিবহন কিংবা অন্য কোনো উপায়ের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
চাহিদার তুলনায় সিএনজি অটোরিকশা ও ট্যাক্সির মতো যানবাহন কম থাকায় বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। তারপরও অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে রাজি হচ্ছেন নগরবাসীরা। কিন্তু যাত্রীর চেয়ে যানবাহন কম হওয়ায় সেগুলোতেও জায়গা হচ্ছে না অনেকের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিইউপির একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভাটারা এলাকায় রাস্তা পার হয়ে আবরার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস।
এরপরই রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রগতি সরণি অবরোধ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন। তারা আজও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন।
Posted ১২:৪৬ | বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain