| মঙ্গলবার, ০৫ মে ২০২০ | প্রিন্ট
প্রতিবছর ঈদের আগে রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে ট্রেনে লঞ্চে করে বিভিন্ন জেলামুখো মানুষের যে ঢল নামে এবার সেই চিরায়ত দৃশ্যের দেখা মিলছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদ সামনে রেখে জনগণকে গ্রামের বাড়িতে না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ফলে এবার যে যেখানে রয়েছেন সেখানেই কাটাতে হবে ঈদের ছুটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আন্তঃজেলা, আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ ও চলাচলও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।
ঢাকা শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস বলে ধারনা করা হয়। এর মধ্যে এক কোটিরও বেশি মানুষ মানুষ পরিবার কিংবা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যায়। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে ঘিরে বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে স্রোত নামে বাড়িমুখো মানুষের।
তবে এবার বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে রমজান মাস। অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অতি সংক্রামক কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে সরকার ঘোষিত ছুটি।
লকডাউন শুরুর আগেই অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। আর যারা ঢাকায় রয়েছেন তারাও অনেকটা ঘরবন্দি। এছাড়া ঈদুল ফিতরের ছুটির সময়ও আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের ফলে এমনিতেও গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সুযোগ থাকছে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সাধারণ ছুটির সময় এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় চলমান সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এর আগে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা ১৪ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল এবং চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছিল। ঢাকাটাইমস
Posted ১০:৫২ | মঙ্গলবার, ০৫ মে ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain