| মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
তীব্র শীতকালীন ঝড়ে নাকাল হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন অঞ্চল। ভারী তুষারপাত ও বরফের কারণে বাতিল করা হয়েছে হাজারো ফ্লাইট। বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশ দুটির প্রায় দেড় লাখ মানুষ। বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে ৮ কোটি মানুষ।
এদিকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে একথা জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানায়, শীতকালীন ঝড়ের দাপট আরো কয়েকদিন চলবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ সময় ওইসব এলাকাগুলোতে এক ফুটের বেশি তুষারপাত হতে পারে।
এনডব্লিউএস এক সতর্কবার্তায় জানায়, তুষারপাত ও বরফের কারণে ভ্রমণ করা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া বিদ্যুৎ সঙ্কট ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) মতে, এখন পর্যন্ত মহাসড়কগুলোতে কয়েক’শ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত সর্বশেষ সতর্কতায় জানানো হয়, নিউ ইয়ক এবং এর আশপাশের এলাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যায় সেখানকার ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের দক্ষিণের বেশির ভাগ অংশে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কানাডার বৃহত্তম শহর টরন্টোতে সাত ইঞ্চি তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ডেটা ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, রোববার যুক্তরাষ্ট্রগামী ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যাওয়া তিন হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি উত্তর ক্যারোলাইনার চার্লট ডগলাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে ৯০ শতাংশ ফ্লাইট গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। ওই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার এক বিবৃতিতে বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
Posted ১৫:৪৭ | মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain