| মঙ্গলবার, ০২ মে ২০১৭ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম, মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মোহনায় বলেস্বর নদীর অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকির কবলে পড়ছে খাউলিয়া ইউনিয়নে পূর্ব আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এ কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক,শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে । বলেস্বরের ভাঙনে ইতোমধ্যে ওই এলাকার বহু ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, নদী থেকে মাত্র ১০ ফুট দূরত্বে বিদ্যালয়টির অবস্থান। শিক্ষক,শিক্ষার্থী, ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টি এখন নদীর খুব কাছা কাছি চলে এসেছে। যে কোন সময় বিদ্যালয় ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে এমন অবস্থায় শিক্ষাথীরা বিদ্যালয় আসতে চায়না এবং অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় পাঠাতে চাননা, ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার বলেন, ১৯২২ সালে পাঠশালা হিসেবে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়।
১৯৮০ সালে রেজিষ্ট্রেশন হয়। ২০১৩ সালে নব সরকারি করণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায়না এবং অভিভাবকরাও সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। এ কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালটিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মাত্র ৫৪ জন। যেখানে গত বছরও ছিল এক শ’র উপরে। বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ জন। প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত এবং বিজলী রানী মল্লিক নামে প্রাক প্রাথমিকের ১ জন ।
একটি মাত্র কক্ষে এ দু’জন শিক্ষকই ক্লাশ নিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার জানান, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ দ্রাজ তুল্লাহ হাওলাদার তারা ৫ ভাই আহম্মদ আলী হাওলাদার, মোহাম্মাদ আলী হাওলাদার, তালেব উদ্দিন হাওলাদার, ও ইয়াসিন আলী হাওলাদার মিলে ৫৮ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্টি করে দেন। গত কয়েক বছরে বলেশ্বর নদীর ভাঙনে এই এলাকার শত শত বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে। এখন বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা একান্তই জরুরী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ নুতন ভবণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। আশাকরি খুব শিগ্রই অনুমােদন পাব। আর তখনই বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নতুন ভবণের কাজ শুরু করা হবে।
Posted ১৬:৫০ | মঙ্গলবার, ০২ মে ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin