বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

মোরেলগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

  |   মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮ | প্রিন্ট

মোরেলগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : পছন্দের পোশাকের খোঁজে ক্রেতারা ছুটছে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে। তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও দোকানে নানা রঙের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে। রমজানের মাঝামাঝি এসে মোরেলগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে। আর বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি এবং বিক্রি বাড়ায় সন্তোষ প্রকাাশ করছেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতাদের এমন ভিড় চাঁদরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

এদিকে ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন মোরেলগঞ্জ ১৬ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকেও বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ভিড় জমাচ্ছে বিপণিবিতানগুলোতে। ফলে সকাল থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কাপুড়িয়া পট্টি ও গার্মেন্টস পট্টির বিপণিবিতান। শুধু বিপণিবিতানই নয়, ভিড় থাকে ভ্রাম্যমাণ মার্কেট, ফুটপাত এবং হকার্স মার্কেটেও। পিছিয়ে নেই জুতা ও কসমেটিকস দোকানও। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী পছন্দসই পোশাক কিনতে ব্যস্ত থাকে। ফলে দিনভর বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

এদিকে বিপণিবিতান ও শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছে বিক্রেতারা। এ ব্যাপারে তাঁজ গার্মেন্টস এর মালিক মো: ফকরুল ইসলাম বলেন, রোজার প্রথম ১৫ দিন বিক্রি ছিল না বললেই চলে। মানুষ শুধু দেখতে আসছে না। পছন্দ ও দামে মিললে পণ্য কিনে নিচ্ছে। সামনে আরো বিক্রি বাড়বে বলে তাঁদের আশা। এ অবস্থায় এত দিন অনেকটা অলস সময় কাটালেও বর্তমানে কথা বলারও ফুরসত নেই বিক্রেতাদের। এবার ঈদে একটু দেরিতেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে। দুই দিন আগেও তেমন কাস্টমার ছিল না। তবে ২০ রোজার পরই ক্রেতা বেড়েছে, সামনে আরো বাড়বে। এদিকে পাখি, কিরণমালা, বাজিরাও মাস্তানির পর এবারের ঈদে তরুণীদের পোশাকের বাজার মাতাচ্ছে হুররাম সুলতান ও বাহুবলী-২।

জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল সুলতান সুলেমানের জনপ্রিয় চরিত্র হুররাম সুলতান ও বাহুবলী-২ বলিউডি সিনেমার নায়িকার পোশাক অনুসারেই এসব নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের পোশাকের তালিকায় রয়েছে সারারা, সরকার থ্রিসহ আরো সব বাহারি নাম। তবে ক্রেতারা বলছেন, এসব নাম শুধুই ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য। বিশেষ কোনো ডিজাইন অনুসারে এ নামকরণ করা হয়নি। আর বিক্রেতারা বলছেন, সিনেমা, সিরিয়াল দেখে ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের পোশাকের প্রতি মানুষের দুর্বলতা তৈরি হয়। এবার ঈদ ফ্যাশন হিসেবে গাউন ধরনের পোশাক মেয়েরা বেশি পছন্দ করছে। বাজারে এ ধরনের পোশাক হুররাম, বাহুবলী-২ নামেও পরিচিতি পাচ্ছে। গাউনের পাশাপাশি লেহেঙ্গা ধরনের পোশাকেও নজর দিচ্ছে মেয়েরা। এগুলোকে সারারা বলা হচ্ছে। তবে লাছা নামের আরেক ধরনের পোশাকও বেশ বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের পোশাকের ক্ষেত্রে এ নামগুলো বেশি ব্যবহার হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিক্রেতারা বলছে, অনেক সময় বড়দের তুলনায় ছোটদের কাপড় তৈরিতে বেশি কষ্ট হয়। তাদের পোশাকে কারুকাজ বেশি থাকে। এসব কারণে শিশুদের পোশাকের দাম বেড়ে যায়। তবে ডিজাইন ও মানভেদে দামের পার্থক্যও রয়েছে। ঈদে পোশাকের পাশাপাশি কসমেটিকস, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দোকানেও ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। এ ছাড়া ছেলেদের পোশাকের দোকানগুলোতেও বেশ ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে ভিড় করছে তরুণরা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৬:২৫ | মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com