| বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮ | প্রিন্ট
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ভাল খেলোয়ার বিশ্বকাপে মেসি রোনালডো গোল করতে মিস করলেও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে গোল করতে ভুল করবেন না।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ লিনায়োতনে বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আয়োজিত নির্বাচন ও লেভেল প্লেলেয়িং ফিল্ট শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব সকল কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি একটি খেলা, একটি কৌশল, আমাদের নেত্রী একজন দক্ষ সেনা নায়ক এতে কোন সন্দেহ নাই। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে মেসি রোনালডো গোল করতে মিস করলেও কিন্তু আমাদেও নেত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা গোল করতে ভুল করবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো কখনও লেভেল প্লেলেয়িং ফিল্ড তৈরি করেনি যা হোক বর্তমানে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাবান তাই নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান থাকবেন এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাই তিনি সবাইকেব আগামী নির্বাচনে অপহরণ করার জন্য আহ্বান জানান। বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাঁর শক্তিশালী কাঠামো এবং নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন প্রমাণ করতে সফল হয়েছে। প্রার্থীরা সমান ভাবে প্রচার প্রচারণা চালানোর সুযোগ পেয়েছে। ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছে অন্যদিকে নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির সব সময় একটা নেতিবাচক মনস্তত্ত্ব কাজ করে যার ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরেও তাঁরা এমন অভিযোগ করে যার কোনও ভিত্তি নেই। বস্তুত নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব যা ইতিমধ্যে প্রমাণিত।
জাতীয় সমাতান্ত্রিক দলের সাধারন সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি বলেন যারা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে না তাদের জন্য লেভেল প্লেলেয়িং ফিল্ড দেওয়া উচিত না।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ কখনও লেভেল প্লেলেয়িং ফিল্ড পায়নি বর্তমানে উন্নয়নের কারণে এবং নেতৃত্বের কারণে মানুষ ভোট দিচ্ছে।
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয় যা লেভেল প্লেলেয়িং ফিল্ড এর পথে অনেক বড় পদক্ষেপ।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেলেয়িং ফিল্ড বলতে বুঝায় আসলে ন্যায়ের আলোকে নির্বাচনটি হচ্ছে কিনা। ন্যায়ের আলোকে নির্বাচনটি হচ্ছে কিনা সেটা বুঝা যাবে সেদিন, যেদিন মানুষ ক্ষেপে যাবে। আলাপ-আলোচনা বা আমাদের পরামর্শে কিছু হবে না, যদি আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থার অবস্থাটি এমন একটি পর্যায়ে চলে যায়, যে মানুষ মনে করে যে নির্বাচন নিয়ে ফাইজলামি হচ্ছে, তখন মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডিগিং করি তাহলে আমাদের ডিগিং করতে হবে ৭১ পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধের সকল ঘটনার শুধু ক্রিমিনাল অফেন্সের বিচার করা শুরু হয়েছে তাও আবার শেষ হয়নি। এই বিচার কাজ যদি আমরা রেগুলার করি, তাহলে কত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ অপরাধের বিচার করতে হবে। আর এই বিচার করাটাই ন্যায় সংগত। কিন্তু এটা তো ক্রিমিনাল অফেন্স। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে কিন্তু কোন ফৌজদারী অপরাধ করেনি, ঐ লোকগুলোর সিভিল অফেন্সের কী হবে?
গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগ তার একটি সুন্দর অফিস উদ্ধোদন করেছে। অনেকেই বলে, এই সরকারে আছে তাই এটি হয়েছে। কিন্তু তাদের এই অফিসটি করতে ৭০ বছর লেগেছে। কিন্তু এই ৭০ বছর কেউ হাইলাইট করে না, আলোচনাও করে না। এই বিল্ডিং করতে আওয়ামী লীগের মতো দল যারা দেশর স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের জন্য এই অফিসটি খুবই ছোট, বড় না। আর এই ৭০ বছরে আওয়ামী লীগ ৫০ বছর বিরোধী দলে ছিল, এই বিষয়টি আলাপ আলোচনায় আসে না
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোদাল দিয়ে কোপ দিলাম একটি সত্য বের হয়ে এলো, এভাবে পর্যায় ক্রমে সত্যেও প্রতিটি লেয়ার বেরিয়ে আসবে। সত্যের কোনো শেষ নেই। আজকের সত্যের পরে আগামী কালের আরেকটি সত্যের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। আমাদের সময় ডটকম
Posted ১৭:৩২ | বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain