| বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মতের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু ডাকসুর ভিপির ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের নামে সংগঠন করে হামলা করবেন, তা কোনোভাবেই হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাজোটের সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয়, সেটা ইসিকে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকাকে উৎসবের নগরী করবে নির্বাচন কমিশন। তাতে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দেবো। এ নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। নির্বাচনে বিএনপি এসেছে, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে হঠাৎ যাতে মাঠ থেকে পালিয়ে না যায়, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। আমরা বিএনপিকে বলবো, মাঠ থেকে পালিয়ে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফলাফল যাই হোক ১৪ দল মেনে নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। মতের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু ডাকসুর ভিপির ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের নামে সংগঠন করে হামলা করবেন, তা কোনোভাবেই হতে পারে না। ঘটনায় যেই জড়িত হোক, তাকে যাতে কোনো ছাড় দেওয়া না হয়, সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সব পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরপর ৯ বার দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ১৪ দল তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। জাতির জনকের পরে সবচেয়ে বেশি জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে তিনি বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডাকসুর ভিপির ওপর হামলা অমানবিক কাজ। তবে আমাদের স্বস্তির বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এটি দেখছেন। তবে এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যে বক্তব্য, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ডাকসুকে সচল রাখতে হবে।
মেনন বলেন, এনআরসি (নাগরিক পঞ্জি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আবার পররাষ্টমন্ত্রী বলেছেন ভিন্ন কথা। এটা অবশ্যই সত্য, বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে কেউ নাগরিকত্ব নিচ্ছে না। এটার কোনো প্রয়োজনও নেই বাংলাদেশিদের। এখানে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব রাখার সুযোগ নেই। ভারত আমাদের বন্ধু। তবে নীতির বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ডাকসুর ভিপির ওপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এ ষড়যন্ত্রে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি প্রার্থী দেবে, তাই তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে।
এসময় তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ মহাজোটের শরীক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১৬:১৯ | বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain