প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ : জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী সৈনিক, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান’র বাসায় ছাত্রলীগের কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিকেল সাড়ে তিনটায় সুনামগঞ্জ পৌর বিপনী চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কালীবাড়ী পয়েনেট প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, দিরাই- শাল্লার সাবেক এমপি, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নাছির চৌধুরী বলেন, হামলা মামলার পরিণাম শুভ হবে না।আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ কাপুরুষের মত বিএনপির শীর্ষ নেতার বাসায় হামলা চালিয়েছে যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। যদি অবিলম্বে বিএনপির শীর্ষ নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাসায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা হয় তাহলে সুনামগঞ্জ থেকে তীব্র আন্দোলন গড়েতুলা হবে। আমরা ভারত সফরের আগে ও পরের নাটক দেখেছি। তবে আমরা আনন্দিত সরকার ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়ে সরকার প্রধান আল্লামা সফির দ্বারস্থ হয়েছেন। যারা আল্লামা সফিকে তেতুল হুজুর উপাধি দিয়েছিলেন যারা তারা আজ নতজানু।
তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য এ সরকার যা যা করার তা করবে। আসুন গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেটের মা-মাটি মানুষের নেতা এম ইলিয়াছ আলীকে সরকারের বাহিনী গুম করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাসায় হামলা করা হয়েছে। এখনই যদি সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত না করা যায় তাহলে তাদের লাগাম টেনে ধরা যাবে না। সম্মিলিত ভাবে তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির নেতা আব্দুল লতিফ জেপি, ছাতক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী, দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির শাহাজাহান মাষ্টার, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা রফিক আহমদ, এ্যাডবোকেট আব্দুল জলিল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ছাত্রনেতা ফরহাদ শাহ প্রমূখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনিছুল হক, আমিরুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুক, কামরুল ইসলাম, একে কুদরত পাশা, নুরুল হক আফিন্দি, রুহুল আমীন, ফেরদৌস আলম আখঞ্জি, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, তোজাম্মিল হক নাসরুম, নিজাম উদ্দিন, হেলাল আহমেদ, আব্দুল আজিজ, মানিক মাষ্টার, ইজ্জত আলী, আব্দুল হক, খোরশেদ আলম, কামাল আহমদ, আলিম আহমদ, রশিদ আহমদ, মনির আহমদ, লুৎফুর খান, সাহেদ আহমদ খান, কয়েছ আহমদ, তইমুছ আলী, আবুল হাসনাত, মাসুক আহমদ, সাগর, আপ্তাব আলী, আতিকুর রহমান, আফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ, দেওয়ান আবু সাইদ চৌধুরী, সুমন মিয়া, রাবিন আনোয়ার, জাকারিয়া অপু, আবুল কাশেম, রুহুল হাসান রুপক, ইব্রাহীম মিয়া, মালেক মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, শাহাদাত হোসেন তারেক, জিয়াউর রহমান, সুজাত ইসলাম, সাইফুল ইসলাম রাহী, ফয়ছল আহমদ সুমন, কামাল, ফয়েজ আহমদ, হেলাল আহমদ, আব্দুশহীদ পাপ্লু, সায়োয়ার আহমেদ, কাওছার আহমেদ প্রমূখ।