এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা উপজেলার উপর দিয়ে রোববার রাতে মওসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব বয়ে গেছে। এতে করে মওসুমি ফল আম, লিচু, সবজি সজনেডাটা, কলা ও ভুট্টার খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সেই সাথে উপড়ে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য গাছপালাও। উড়ে গেছে আধাপাকা ও কাঁচা বাড়িঘরের টিনের ছাউনি। ঝড়ের সাথে হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইটভাঁটা মালিকেরা।
গত রোববার রাত দিবাগত ১১টার দিকে কালবৈশাখীর তান্ডব শুরু হয়। পশ্চিম-দক্ষিণ কোণ থেকে ধেয়ে আসা ঝড়টি উপজেলার ভারশোঁ, কুসুম্বা, মান্দা, প্রসাদপুর, তেঁতুলিয়া, নুরুল্লাবাদ, কশব ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ের তান্ডবে কলাবাগান ও ভুট্টারখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে ক্ষতি হয়েছে মওসুমি সবজি সজনে ডাটার।
প্রসাদপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, গতরাতের ঝড়ে গ্রামের মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান মাটিতে পড়ে গেছে। অল্প কিছুদিন আগে এসব ধানগাছে শীষ বের হয়েছে। এখনও পাকতে অনেক দেরি আছে। এ অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নিয়ামতউল্লাহ্ বলেন, রোববার রাতের ঝড়ে তার ১৫ কাঠা জমিতে থাকা কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমির ৮০/৯০ ভাগ কলাগাছই ভেঙে নষ্ট গেছে। অল্পদিনেই তার এসব গাছে ফল আসত। ঝড়ে অন্তত ৫০/৬০ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।
ইটভাটা মালিক মকলেছুর রহমান মকে ও হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, গতরাতের বৃষ্টিতে ভাটার খলিয়ানে থাকা কাঁচা ইটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে সেগুলো সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। এতে ভাটামালিকেরা আবারও ক্ষতির মুখে পড়বেন। প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মন্ডল বলেন, ঝড়ে তার ইউনিয়নে কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আমসহ অন্য ফসলও ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া কিছু বসতবাড়ির টিনের উড়ে গেছে।
Like this:
Like Loading...
Related