| শনিবার, ০২ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
সব গণতান্ত্রিক দলগুলোকে এক হয়ে সরকার পদত্যাগের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আরও যদি সোজা সাপ্টা বলি, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
শনিবার দুপুরে বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে অনশন সংহতি জানিয়ে মান্না এসব কথা বলেন।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া অনশন বিকাল তিনটা পর্যন্ত চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসনকে পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান।
বিভিন্ন কর্মসূচির পুলিশের অনুমতি নেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মান্না বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করছি ১৭ কোটি মানুষ আপনাদের পেছনে, বিএনপির পেছনে। তাই (সভা-সমাবেশের জন্য) সরকারের নির্দেশের অপেক্ষার আর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ওরা অনুমতি দেবে না, আমি অনুমতি চাইও না।
মান্না বলেন, ‘এটা সত্যি যে জিনিসপত্রের দাম এতো বেড়েছে যে, মানুষ বেকুব হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী দুইদিন আগে সংসদে বলেছেন, দ্রব্যমূল্য জনগণের সহ্যের মধ্যে আছে…. বুঝেন! ১০ টাকা চাল খাওয়ানোর কথা ছিলো সেই চালের দাম আজকে ৭০ টাকা। তারপরেও লজ্জা নাই। বলে কিনা এমন কোনো দাম বাড়ে নাই, মানুষের টাকা আছে কেনার ক্ষমতা বেড়েছে, তিনগুন ক্ষমতা বেড়েছে যে মানুষ কিনে কিনে খেতে পারে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘একটাই কাজ করতে হবে, এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সরকার যাতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং পালাবার কোনো পথ না পায়। আমি যদি জনগনের জন্য আন্দোলন করি, ন্যায্য আন্দোলন করি মানুষের কাছে যাবো, মানুষের সঙ্গে বসব, তার সঙ্গে কথা বলব। ডাক দেবো আপনাদের, সারা বাংলাদেশ বন্ধ হয়ে যাবে, বন্ধ হয়ে যাবে ওদের ক্ষমতার আস্ফালন, ওদের ক্ষমতার লাঠি ঘুরানোও বন্ধ হবে, ক্ষমতার দাপট দেখানো বন্ধ হবে, পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিনের লিটন মাহুমদের সঞ্চালনায় গণঅনশনে বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, আনিসুর রহমান তালুদকার খোকন, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
মহানগরের ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের হেলাল খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, তাঁতী দলের মজিবুর রহমান, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্র দলের ফজলুল রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
এই গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জামায়াতের নুরুল ইসলাম বুলবুল, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, এনডিপির আবু তাহের, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক লুতফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ নেতারা।
Posted ১৭:১৭ | শনিবার, ০২ এপ্রিল ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain